মহাজোটের শরিকদের মধ্যে আসন বণ্টন সম্পন্ন করেছে আওয়ামী লীগ। শরিকদের ৫৫ থেকে ৬০টি আসন দিচ্ছে দলটি। আরও দু’দিন বাকি আছে এর মধ্যে আরও কিছু পরিবর্তন হতে পারে। সে কারণে চূড়ান্ত সংখ্যা এখনই বলা যাচ্ছে না।
শুক্রবার সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
কাদের জানান, শরিকদের মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টিকে ৫টি, জাসদ (ইনু) ৩ টি, জাসদ (আম্বিয়া) ১ টি, তরিকত ফেডারেশন ২ টি, জাতীয় পার্টিকে (জেপি) ২টি আসন দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ৫ জনকে ৫টি আসন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তারা হলেন- রাশেদ খান মেনন (ঢাকা-৮), ফজলে হোসেন বাদশা (রাজশাহী-২), মোস্তফা লুৎফুল্লাহ (সাতক্ষীরা-১), ইয়াসিন আলী (ঠাকুরগাঁও-৩) এবং বরিশাল-৩ আসন থেকে শেখ টিপু সুলতান।
মহাজোট এবার জাসদকে (ইনু) দিয়েছে ৩টি আসন। এ আসনগুলো হলো- কুষ্টিয়া-২ : হাসানুল হক ইনু, ফেনী-১ : শিরীন আখতার ও বগুড়া-৪: এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন।
এ ছাড়া বাংলাদেশ জাসদের মইনউদ্দিন খান বাদল চট্টগ্রাম-৮ আসন থেকে লড়বেন নৌকা প্রতীক নিয়ে।
শরিক দল তরিকত ফেডারেশনকে দু’টি আসন দিয়েছে জোটের বড় দল আওয়ামী লীগ। এগুলো হলো- চট্টগ্রাম-২: নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী ও লক্ষ্মীপুর-১ : আনোয়ার হোসেন খান
জাতীয় পার্টি (জেপি) পাচ্ছে দু’টি আসন। পিরোজপুর-২ আসনে নৌকা প্রতীকে লড়বেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে থাকবেন রুহুল আমিন।
বিকল্প ধারার মাহী বি চৌধুরীকে দেয়া হয়েছে মুন্সীগঞ্জ-১ আসনটি। মহাজোটের হয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন তিনি। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান ও মৌলভীবাজার-২ আসনে এম এম শাহীনকে নৌকা প্রতীক দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
তবে মহাজোটের এই শরিকরা চাইলে তাদের নিজ নিজ প্রতীকেও নির্বাচন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নৌকা প্রতীক ছাড়াও তারা অন্য কেউ নির্বাচন করতে চাইলে নিজ দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে পারবেন।
এ ছাড়া এরশাদের জাতীয় পার্টিকে ৪০ থেকে ৪২টি আসন দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
এক প্রশ্নর জবাবে কাদের বলেন, আমাদের একটা স্ট্র্যাটেজি আছে। সেটা হিসেব করেই নির্বাচন করছি। পৃথক প্রার্থী হলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। সমঝোতার ভিত্তিতে আসন ভাগাভাগির নামে বানরের পিঠা ভাগ করছি না।