জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগমুহূর্তে অসুস্থতা নিয়ে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি হয়েছিলেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। আজ বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই বনানীতে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে এসে গাড়ি থেকে না নেমে নেতাকর্মীদের সামনে কয়েক মিনিট কথা বলেন তিনি। এসময় তাকে ‘চিকিৎসা করতে এবং বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না’ বলেও অভিযোগ করেন এরশাদ।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আজ বলতে এসেছি, আমাকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না, এগিয়ে যাব৷ আমার বয়স হয়েছে, চিকিৎসা করতে দেবে না; বাইরে যেতে দেবে না। মৃত্যুকে ভয় করি না। তোমাদের কোনো ভয় নেই। জাপা তোমাদের মাঝে বেঁচে থাকবে। জাপা চিরদিন নির্বাচন করেছে, এবারও করবে।’
২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে এরশাদ নাটকীয় অসুস্থতা নিয়ে সিএমএইচে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে ভর্তি থাকা অবস্থাতেই তিনি সাংসদ নির্বাচিত হন এবং পরে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের দায়িত্ব পান। এবার একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগমুহূর্তে ‘অসুস্থ’ এরশাদের সিএমএইচে ভর্তির খবর এলে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়। এরপর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, এরশাদের অসুস্থতা ‘রাজনৈতিক’ নয়; তিনি ‘সত্যিই’ অসুস্থ।
পার্টি কার্যালয়ের সামনে কয়েক মিনিটের অবস্থান দলের নতুন মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গাকে নিয়েও কথা বলেন এরশাদ। তিনি বলেন, ‘পুরনো মহাসচিবকে ভালোবাসতাম। নতুন মহাসচিবকে তোমরা ভালোবেসো৷ সে নতুন, তাকে সাহায্য করো।’ উল্লেখ্য, মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে এরশাদের ‘সন্তানতুল্য’ রুহুল আমিন হওলাদারকে সরিয়ে মহাসচিব করা হয় ‘সরকারঘনিষ্ঠ’ হিসেবে পরিচিত মশিউর রহমান রাঙ্গাকে।
৮৮ বছর বয়সী এরশাদ আরও বলেন, ‘বেঁচে আছি, বেঁচে থাকব। ২৭ বছর ধরে রাস্তায় রস্তায় ঘুরেছি, পার্টি ছাড়ি নাই৷ সব নির্ভর করে তোমাদের উপর। কেউ পার্টি ছেড়ে যেও না, আমাকে প্রতিশ্রুতি দাও।’ এসময় কর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে তাকে সমর্থন জানান। শেষে এরশাদ বলেন, ‘আমার ব্লাড শর্টেজ আছে, একটু বাসায় যাচ্ছি খেতে।’