দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর ক’দিন পরই শুরু হবে প্রচার-প্রচারণা। খাগড়াছড়িতে তৃণমূলের আস্থায় থাকা বিএনপি মনোনীত তিন প্রার্থীর অন্যতম ওয়াদুদ ভূঁইয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হলেও আদালতে দণ্ডিত হওয়ায় যাচাই-বাছাইকালে সেটি বাতিল হয়ে বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে বিএনপি শিবিরে।
তবে ২ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইকালে বিএনপি মনোনীত তিন প্রার্থীর অন্যতম ওয়াদুদ ভূঁইয়ার মনোনয়ন পত্র বাতিল হলেও টিকে যায় অপর দুই প্রার্থী খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া ফরহাদ ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সমীরণ দেওয়ান।
নির্বাচন ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে মাঠ গোছানোর পরও খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূঁইয়া শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী ময়দানে থাকতে পারলেন না। এখন প্রশ্ন উঠেছে খাগড়াছড়িতে ওয়াদুদ ভূঁইয়া বিহীন ভোটের মাঠে তাহলে কে হবেন ধানের শীষের কাণ্ডারি? ফরহাদ নাকি সমীরণ?
ওয়াদুদ ভূঁইয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল হলেও নির্বাচনী ময়দানে সরব আছেন খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া ফরহাদ। ওয়াদুদ ভূঁইয়ার অনুপস্থিতিতে তিনিই নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখাসহ দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত ঘরোয়া বৈঠক করে চলেছেন। অপরদিকে ভোটের মাঠে দেখা মিলছে না বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া অপর প্রার্থী সমীরণ দেওয়ানের।
মো. শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া ফরহাদ বলেন, খাগড়াছড়ি ওয়াদুদ ভুইয়ার হাতে গড়া দুর্গ। এ দুর্গ রক্ষায় শেষ পর্যন্ত কেন্দ্র যাকে মনোনয়ন দেবে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তার পক্ষেই কাজ করব। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করাসহ ভোটের মাঠে সমসুযোগ নিশ্চিত করা হলে বিএনপি প্রার্থীই বিজয়ী হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে ভোটের মাঠে না থাকলেও চূড়ান্ত মনোনয়নন পাওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী বিএনপির অপর প্রার্থী সমীরণ দেওয়ান বলেন, শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনেই আমি ভোটের মাঠে কাজ করবো।
৪ লাখ ৪১ হাজার ৬৮ জন ভোটারের খাগড়াছড়িতে ৫৯ হাজার তরুণ ভোটার নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। আর হারানো আসন পুনরুদ্ধারে বিএনপির মনোনয়নে কে হচ্ছে ধানের শীষের কাণ্ডারি এখন সেদিকেই তাকিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরসহ পাহাড়ের মানুষ।