সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের সমুদ্রে বহুবার হাবুডুবু খেয়েছেন তিনি। কিন্তু সংবাদ কর্মীদের সামনে আসা মাশরাফি বিন মুর্তজা এর আগে কখনও এত অপ্রিয় প্রশ্নের ভিড়ে চিড়ে-চ্যাপটা হননি।
রাজনীতির গলিতে প্রবেশের পর এটাই ছিল সাংবাদিকদের সঙ্গে তার প্রথম আলাপন। তীক্ষè সব প্রশ্নের তীর ধেয়ে গেল তার দিকে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাশরাফি বললেন, ক্রিকেট ছাড়ার পর সবাই তাকে মনে রাখবেন এমনটি মনে করেন না তিনি। ‘আমি শচীন টেন্ডুলকার কিংবা গ্লেন ম্যাকগ্রা নই যে মানুষ আমাকে মনে রাখবে’, তার সরল স্বীকারোক্তি।
মঙ্গলবার মিরপুরে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফির চেয়ে হবু রাজনীতিবিদ মাশরাফিই বড় হয়ে ওঠেন। মাঝে-মধ্যে উঁকি দিয়েছেন ক্রিকেটার মাশরাফি। দুই মাশরাফির দুটি বক্তব্য প্রণিধানযোগ্য। এক, রাজনীতিবিদ মাশরাফি মানুষের জন্য কাজ করতে চান। তাই বড় পরিসরে তার আসা। দুই, ক্রিকেটার মাশরাফি নিজেকে চিরচেনা অঙ্গনে দেখছেন ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত।