বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আসন বন্টন নিয়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে দু-একদিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে বিকাল থেকেই মহাসচিবসহ দলের সিনিয়র কয়েকজন নেতা বিএনপি ও দুই জোটের একক প্রার্থী নিয়ে বৈঠক করেন। একইসঙ্গে যেসব আসনে ধানের শীষের প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে তা নিয়ে করণীয় বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।
বৈঠকে আরও ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু প্রমুখ।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, শত বাধা-প্রতিকূলতা, গ্রেফতার-নির্যাতন উপেক্ষা করে আগামি নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে আমরা দৃঢ প্রতিজ্ঞ। গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় আমরা চাই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও জনগণকে মুক্ত করতে। এই দেশের মানুষ বারবার লড়াই করে তাদের অধিকার ফিরিয়ে এনেছে। এবারেও তারা সুনিশ্চিত জয়ী হবেই।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ইসি সম্পর্কে কোনো কথাই বলতে ইচ্ছে করে না। ইসি নূন্যতম আস্থাও হারিয়ে ফেলেছে। তারা সরকারের ইচ্ছা বাস্তবায়নে বিরোধী দলকে হয়রানি ও সমস্যা তৈরি করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, অওয়ামী লীগের জোট শরিকদের মধ্যেই তো মনোনয়ন নিয়ে ঝামেলা চলছে।