স্কুলে ডেকে নিয়ে বাবা-মাকে অপমান করায় নবম শ্রেনির ছাত্রী অরিত্রি অধিকারীর (১৫) আত্মহত্যার ঘটনায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাতী শাখার প্রধান শিক্ষক জিন্নাত আরাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্কুলটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস বলেন, পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ওই শিক্ষককে মঙ্গলবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নকলের অভিযোগ তুলে বাবা-মাকে ডেকে অপমান ও টিসি দেয়ার কথা বলায় রাজধানীর শান্তিনগরে নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রি আত্মহত্যা করেন।
স্কুলের অধ্যক্ষ অরিত্রির বাবা-মাকে ডেকে মেয়ের সামনেই অপমান করে বলেন, সিদ্ধান্ত হয়েছে অরিত্রিকে নকলের অভিযোগে প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেয়া হবে।
এ অপমান সইতে না পেরে বাসায় এসে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন অরিত্রি। আত্মহত্যার কিছুক্ষণ আগে সে তার মাকে জানায়, ‘মা এ লজ্জা নিয়ে বাঁচতে চাই না।’ তার ছোট বোনও একই স্কুলে পড়ে।
অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস বলেন, অরিত্রী প্রভাতী শাখায় পড়ত। দায়িত্বরত শিক্ষক তার নকল ধরে শাখা প্রধানের কাছে যান। পরে শাখা প্রধান তাকে বহিষ্কার করে পরীক্ষা স্থগিত করেন। পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে শাখা প্রধানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, স্কুলে শিক্ষকের কথায় অপমানিত হয়ে ছাত্রীর আত্মহত্যা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত হওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এ ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক না কেন, প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।