২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৭:০৪

হাওলাদার বাদ, রাঙ্গা জাপার মহাসচিব

আসন্ন সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে বাণিজ্য ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগের মুখে জাতীয় পার্টির মহাসচিব পদ থেকে এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মসিউর রহমান রাঙ্গাকে। গতকাল সোমবার সকালে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাকে পাঠানো এক চিঠিতে ওই রদবদলের কথা জানিয়েছেন দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এরশাদের রাজনৈতিক সচিব ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও রদবদলের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, সিদ্ধান্তটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।

দলীয় প্যাডে রাঙ্গাকে পাঠানো চিঠিতে সই রয়েছে এরশাদের। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আপনাকে (মসিউর রহমান রাঙ্গা) জাতীয় পার্টির মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হলো। পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যের পাশাপাশি আপনি এই অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন। জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০/১/ক ধারা মোতাবেক এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে।’

মসিউর রহমান রাঙ্গা চিঠি প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘হ্যাঁ, চিঠি পেয়েছি। আপনাদের সহযোগিতা চাই।’ কী কারণে রুহুল আমিন হাওলাদারকে সরিয়ে দেওয়া হলো সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি।

দলের নতুন দায়িত্ব নিয়ে মসিউর রহমান রাঙ্গা জানিয়েছেন, বিদায়ী মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে। গতকাল বিকেলে ঢাকার বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। মনোনয়ন বাণিজ্য নিয়ে অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাঙ্গা বলেন, ‘এই অভিযোগের প্রসঙ্গে সত্যতা, অসত্যতা রয়েছে। নানা বক্তব্য আছে। আমরা জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যরা গত রাতে আলোচনা করেছি। প্রেসিডিয়াম সদস্যদের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রাঙ্গা আরো বলেন, ‘মনোনয়ন নিতে এসে যাঁরা লাঞ্ছিত হয়েছেন, যাঁরা টাকা-পয়সা নেওয়ার অভিযোগ এনেছেন, তাঁরা যদি আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান, তবে আমরা ব্যবস্থা নেব।’

জাপার নতুন মহাসচিব জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দু-এক দিনের মধ্যে বিদেশে যাবেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের রক্তের হিমোগ্লোবিন যেখানে ১২, স্যারের (এরশাদ) ১০। তিনি দুর্বল হয়ে পড়েছেন। আজ সকালেও আমি তাঁকে দেখে এসেছি। চিকিৎসকরা তাঁকে দেখছেন। দু-এক দিনের মধ্যে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারেন।’

এরশাদের নিজের জেলা রংপুরের এমপি মসিউর রহমান রাঙ্গা। পরিবহন মালিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির প্রেসিডেন্ট হিসেবে বড় ধরনের প্রভাব রয়েছে তাঁর। এবারও রংপুর-১ আসনে এরশাদের প্রতীক লাঙল নিয়ে নির্বাচনে লড়বেন রাঙ্গা। আওয়ামী লীগ ওই আসনে কোনো প্রার্থী না দেওয়ায় রাঙ্গাই এবার গঙ্গাচড়া থেকে সম্ভাব্য মহাজোটের প্রার্থী।

সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন দল ও জোট যখন আসন ভাগাভাগি ও প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করা নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত, ঠিক তখনই নিজের খুব ঘনিষ্ঠ রুহুল আমিন হাওলাদারকে সরিয়ে দিলেন এরশাদ।

জাপার একজন সিনিয়র নেতা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন নিয়ে দর-কষাকষির সময় জাতীয় পার্টিতে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠে খোদ দলীয় নেতাদের মধ্য থেকেই। দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কয়েকজন প্রকাশ্যে এসংক্রান্ত অভিযোগ আনেন এবং তাঁদের ক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন রুহুল আমিন হাওলাদার। আবার এই কথিত মনোনয়ন বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে এরশাদের নামও গণমাধ্যমে উঠে আসায় নিজের ও দলের ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থেই রুহুল আমিন হাওলাদারকে সরিয়ে দিয়েছেন এরশাদ—এমনটাই জানিয়েছেন ওই নেতা।

জাপার আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, ‘প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়া উদ্দীন আহমেদ বাবলুর মনোনয়ন নিয়ে যা ঘটেছে তাতে এরশাদ ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়েছেন। স্যার (এরশাদ) চেয়েছিলেন বাবলু চট্টগ্রাম থেকে মহাজোটের প্রার্থী হোক। কিন্তু তাঁকে কক্সবাজারে দেওয়া হয়েছে এবং পরে রংপুরের একটি আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী করা হয়েছে। আবার বাবলুর গাড়িতে হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এসব ঘটনায় এরশাদ মহাসচিবের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন।’

পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া কিংবা মনোনয়ন বাণিজ্যসংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য রুহুল আমিন হাওলাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর স্ত্রী নাসরিন জাহান রত্না সঙ্গে কথা বলেছেন। জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য নাসরিন জাহান রত্না বলেন, তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি বলেন, ‘মহাসচিব পরিবর্তন করেছেন পার্টির চেয়ারম্যান এবং সে এখতিয়ার উনার আছে।’

এরশাদ প্রায় এক সপ্তাহ ধরে অসুস্থতার জন্য সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে থাকার মধ্যেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা করেছেন রুহুল আমিন হাওলাদার। সে আলোচনার প্রেক্ষাপটেই জাতীয় পার্টি থেকে প্রার্থীদের চূড়ান্ত করা হয়েছে। হাওলাদার নিজের ও স্ত্রীর মনোনয়ন নিশ্চিত করলেও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটে প্রেসিডিয়াম সদস্য সালমা ইসলামসহ দলের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতার মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে পারেননি। ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে সালমা ইসলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আর উত্তরাঞ্চলে আরেক নেতা আবদুর রশীদ সরকার বিএনপিতে যোগ দিয়ে দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন। সালমা ইসলাম বর্তমান সংসদের সদস্য। অন্যদিকে রশীদ সরকার একজন সাবেক সংসদ সদস্য।

দলটির একজন সিনিয়র নেতা বলেন, তিনি মনে করেন ক্ষোভ সামাল দেওয়া, ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনা এবং দলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এরশাদ।

২০০১ সালের নির্বাচনের আগে জাতীয় পার্টির তৎকালীন মহাসচিব আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বে একাংশ দল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব করেছিলেন এরশাদ। দলের মধ্যে টানাপড়েনে ২০১৩ সালের ১০ এপ্রিল হাওলাদারকে মহাসচিব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। তবে তিন বছরের মাথায় ২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি ফের তাঁকে মহাসচিব পদে ফিরিয়ে এনেছিলেন এরশাদ।

মনোনয়ন বিক্রির অভিযোগ : জাতীয় পার্টির একাধিক নেতা এবার মোটা টাকায় দলের মনোনয়ন বিক্রির অভিযোগ আনেন এরশাদ ও রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে। সে অভিযোগ অস্বীকার করে হাওলাদার বলে আসছিলেন, ‘সব অপপ্রচার’। সেই হাওলাদারের মনোনয়নপত্র গত রবিবার ঋণ খেলাপের অভিযোগে বাতিল করে দেন রিটার্নিং অফিসার।

গত ২৮ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে জাপার পক্ষ থেকে ১১০ জন প্রার্থীর তালিকার কথা জানিয়েছিলেন হাওলাদার। ওই তালিকায় নাম আসা কয়েকজনও মনোনয়নের জন্য অর্থ দেওয়ার কথা বলেন সাংবাদিকদের। নীলফামারী-৪ আসনে জাপার এমপি শওকত চৌধুরী ওই দিন সকালে পার্টি অফিসে গিয়ে বলেছিলেন, মনোনয়নপ্রত্যাশী অনেক নেতা এবং তাঁর কাছ থেকে পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিব মোটা ‘চাঁদা’ নিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, চেয়ারম্যানকে ৬০ লাখ টাকা দেওয়ার পরও তাঁর মনোনয়ন নিয়ে টালবাহানা হচ্ছে।

হাওলাদার যে তালিকা দিয়েছেন, তাতে নীলফামারী-৪ আসনে শওকত চৌধুরীর পাশাপাশি আদেলুর রহমান আদেলের নাম দেখা যায়। জাপা কার্যালয়ে উপস্থিত নেতাদের উদ্দেশ করে ক্ষুব্ধ শওকত বলেছিলেন, ‘আমি দেখে নেব। আমার টাকা ফেরত দিতে বলবেন তাঁকে।’

গাজীপুর-৫ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আজম খানের স্ত্রী কালীগঞ্জ উপজেলা সভাপতি রাহেলা পারভীন শিশির। ওই আসনে গাজীপুর মহানগর জাপার সহসভাপতি গাজী ওবায়দুল কবির মজনুও মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তিনিও মনোনয়নের জন্য টাকা লেনদেনের অভিযোগ তোলেন। মজনু বলেন, ‘মনোনয়ন ফরমের দাম ২০ হাজার টাকার পরিবর্তে ২২ হাজার টাকা নিয়েছে। এরপর আবার দুই হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে এক কোটি টাকা চেয়ে অনেকের কাছে মনোনয়ন বিক্রি করছেন। তাহলে ওনার মতো নেতার কাছে আমি কেন আসব?’ দলের এ অবস্থার জন্য চেয়ারম্যানকে দোষারোপ করার পাশাপাশি নিজের আসনে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার ঘোষণা দেন মজনু।

দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও দিনাজপুর-৫ আসনে প্রার্থী হওয়ার আবেদন সংগ্রহ করা মো. সোলায়মান সামি, চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় পার্টির সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের শেখ শরিফুল ইসলামও একই ধরনের অভিযোগ করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী কাজী মামুনুর রশীদ এবং জয়পুরহাট-২ আসনে আবুল কাশেম রিপনও ‘মনোনয়ন বাণিজ্যের’ অভিযোগ করেন। তবে পরে মহাসচিবের সংবাদ সম্মেলনে যে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়, সেখানে তাঁদের নাম দেখা যায়।

মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগের বিষয়ে সেদিন সংবাদ সম্মেলনে রুহুল আমিন হাওলাদারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এটা কোনো একটি স্থান থেকে এসেছে, আমাকে ও দলকে হেয়প্রতিপন্ন করতে। সারা জীবন ধরে এ ধরনের কোনো অভিযোগ এলো না। এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। কোনো একটি লোক এটা করাচ্ছে।’

গঙ্গাচড়ায় জাপার আনন্দ মিছিল : আমাদের রংপুর অফিস জানায়, রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) আসনের এমপি এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা জাতীয় পার্টির মহাসচিব মনোনীত হওয়ায় গঙ্গাচড়ায় আনন্দ মিছিল হয়েছে। পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ ও রাঙ্গাকে অভিনন্দন জানিয়ে গতকাল গঙ্গাচড়া উপজেলা জাতীয় পার্টির উদ্যোগে ওই আনন্দ মিছিল করা হয়।

মিছিলে নেতৃত্ব দেন উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আরিফ সরকার রিজু, জাপা নেতা আব্দুল্লাহ আল হাদী, মঞ্জুরুল ইসলাম মিঠু, আওরঙ্গজেব বাদশা, মাহফুজার রহমান ফুলু, যুবসংহতির আহ্বায়ক আব্দুল মালেক, ছাত্রসমাজের সভাপতি নুরল হুদা নাহিদ, সাইবার পার্টির সভাপতি ও বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহফুজার রহমান, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা সমন্বয়কারী সুজন আহম্মেদ, স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি শফিকুল ইসলাম সোহেল প্রমুখ।

‘সময়ের ব্যবধানে ঠিক হয়ে যাবে’ : পটুয়াখালী প্রতিনিধি জানান, রুহুল আমিন হাওলাদারের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া নিয়ে আপিল করা হবে নির্বাচন কমিশনে। এ তথ্য জানিয়ে জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির মাহামুদ সেলিম বলেন, ‘ঋণখেলাপির কারণে তাঁর (রুহুল আমিন) মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে ঠিক; কিন্তু কিস্তির পুরো টাকা তাঁর পরিশোধ করা আছে, যার অফিশিয়াল সব ডকুমেন্ট আমরা জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে জমা দিয়েছি। তিনি আমাদের নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে বলেছেন। আশা করছি আমাদের মনোনয়ন টিকবে। মহাসচিব পদ থেকে তাঁকে আপাতত অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, এটা জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক কৌশল। সবই সময়ের ব্যবধানে ঠিক হয়ে যাবে।’

প্রকাশ :ডিসেম্বর ৪, ২০১৮ ৯:২৬ পূর্বাহ্ণ