শীতের সবজি হিসাবে জনপ্রিয় হলেও আজকাল প্রায় সারা বছরই টমেটো পাওয়া যায়। টমেটোর গুণাগুণ অপরিসীম।এতে শতকরা ৯৫ ভাগ পানি এবং ৫ ভাগ কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবার থাকে। একটা মাঝারি আকৃতির টমেটোতে ক্যালরি থাকে মাত্র ২২।
টমেটোতে লাইকোপিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যার কারণে এর রঙ লালচে দেখায়। গবেষণায় দেখা গেছে, লাইকোপিন হৃদরোগের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া এই উপাদানটি চোখের জন্যও ভাল। নিয়মিত টমেটো খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে।
টমেটোতে থাকা পানি ও ফাইবার কোষ্টকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে।
টমেটোতে ভিটামিন কে এবং ক্যালসিয়াম থাকায় এটি হাড় গঠনে বেশ কার্যকরী।
ক্যানসার প্রতিরোধেও দারুনভাবে কাজ করে টমেটো। এতে থাকা লাইকোপেন উপাদান ক্যানসারের কোষকে বাড়তে দেয় না। বিশেষত পাকস্থলী, প্রোস্টেট ক্যানসার নিয়ন্ত্রণে টমেটো ভূমিকা রাখে।
টমেটোয় কোমেরিক অ্যাসিড ও ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড রয়েছে। ধূমপানের ফলে দেহে যে ক্ষতি হয়, তা রোধ করতে সাহায্য করে টমেটো।
গবেষণায় দেখা গেছে, টাইপ টু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে টমেটো বেশ কার্যকরী। এছাড়া এতে থাকা লাইকোপিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোদে পুড়ে যাওয়া ত্বক সুন্দর করতে সাহায্য করে।