আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ঢাকার একটিসহ সারাদেশের বেশ কয়েকটি আসনে আপাতত বিএনপির প্রার্থীশূন্য হয়ে পড়েছে। আসনগুলো হলো বগুড়া-৭, সুনামগঞ্জ -৩, খুলনা-৬, ঢাকা-১, মানিকগঞ্জ-২, জামালপুর-৪, রংপুর-৫ ও শরীয়তপুর–১ আসন। তবে সুনামগঞ্জ-৩ আসনে ২০ দলীয় জোটের শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা শাহিনূর পাশা চৌধুরী এবং খুলনা-৬ আসনে জামায়াত নেতা আবুল কালাম আজাদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি ৬টি আসনে বিএনপি কিংবা জোটের কোনো প্রার্থী নেই।
বগুড়া-৭: এই আসনে বিএনপির দুই প্রার্থীর উভয়ের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। আসনটিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাশাপাশি বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন গাবতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদ মিলটন। কিন্তু তাদের দুজনেরই মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
ঢাকা-১: এখানেও বিএনপির দুই প্রার্থীর উভয়ের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। তারা হলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু আশফাক ও নবাবগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান ফাহিমা হোসাইন জুবলি।
খুলনা-৬: এই আসনে ঋণ খেলাপী হিসেবে বিএনপির একমাত্র প্রার্থী শফিকুল আলম মনার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
সুনামগঞ্জ-৩: এখানে বিএনপির দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছেন রিটানিং কর্মকর্তা। আসনটিতে বিএনপি মনোনোয়ন নিয়ে যুক্তরাজ্য বিএনপির কোষাধক্ষ্য আব্দুস ছাত্তার প্রার্থী হলেও বাংলাদেশের ভোটার তালিকায় নামই নেই তার। যে কারণে মনোনয়নপত্রটি বাতিল করা হয়েছে। হলফনামানায় নিজেকে জগন্নাথপুর উপজেলার খাগাউরা গ্রামের বাসিন্দা উল্লেখ করেছেন তিনি। বিএনপির অপর প্রার্থী আশরাফুল হক সুমন মনোনয়নপত্রের সাথে হলফনামা সংযুক্ত করে না দেওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জ-২: এই আসনেও বিএনপির দুই প্রার্থীর উভয়ের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। জানা গেছে, এই আসনের বিএনপি মনোনিত প্রার্থী ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য মঈনুল ইসলাম খান শান্ত ও সিংগাইর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবিদুর রহমান রোমান। এর মধ্যে দলীয় মনোনয়ন ফরমে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষরে অমিল থাকায় মঈনুল ইসলাম খান শান্তর মনোনয়নপত্র এবং উপজেলা পরিষদ থেকে পদত্যাগ না করায় আবিদুর রহমান রোমানের মনোনয়নপত্রটি বাতিল করেছে জেলা রির্টানিং অফিসার।
জামালপুর-৪: এখানে বিএনপির একমাত্র প্রার্থী ছিলেন সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফরিদুল কবির তালুকদার। পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
রংপুর-৫: নথিতে ত্রুটি থাকায় এই আসনে বিএনপির দুই প্রার্থী সাবেক সাংসদ সোলায়মান আলম ফকির এবং জেলা বিএনপির সদস্য মমতাজ হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
শরীয়তপুর-১: এই আসনে বিএনপির প্রার্থী সরদার নাসিরউদ্দিনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে টেলিফোন বিল বকেয়া থাকায়। ১৯৮৮ সাল হতে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত টেলিফোন বিল বকেয়া থাকায় বাছাই কালে তাঁর মনোনয়পত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী আবু তাহের। ওই সময় কালে নাসির উদ্দিনের কাছে তিন হাজার ৮১৫ টাকা বিল বকেয়া রয়েছে। যদিও বিএনপির প্রার্থী সরদার নাছির উদ্দিন কালু অভিযোগ করে বলেন, আমার কোনো টেলিফোন বিল বকেয়া নেই। আমি ১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। ২০০৪ সালে শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হই। এতদিন পরে আমার টেলিফোন বিল কিভাবে বকেয়া হলো তা আমার জানা নেই। আমি প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করব।