কিডনিতে পাথর হওয়া মানুষের সুস্থতার জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। সুস্থ ও সুন্দর জীবনের জন্য সুস্থ কিডনির বিকল্প নেই। যখন কোনো কিডনিতে পাথর হয় তখন মানুষ নানা বিড়ম্বনায় পড়ে। তবে কিডনির রোগ থেকে মুক্ত থাকতে নিয়মতান্ত্রিক জীবন-যাপনের বিকল্প নেই।
যদি কারো কিডনিতে পাথর হয় তবে তাকে অবশ্যই শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবন-যাপন করতে হবে। সুস্থ জীবন লাভে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।
পাশাপাশি এ ঝুঁকিযুক্ত সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে রয়েছে কুরআনি আমল। সুতরাং যদি কেউ কিডনিতে পাথরে আক্রান্ত হয়, তার উচিত এ জটিল সমস্যা সমাধানে কুরআনি আমল করা। আর তাহলো-
ثُمَّ قَسَتْ قُلُوبُكُم مِّن بَعْدِ ذَٰلِكَ فَهِيَ كَالْحِجَارَةِ أَوْ أَشَدُّ قَسْوَةً ۚ وَإِنَّ مِنَ الْحِجَارَةِ لَمَا يَتَفَجَّرُ مِنْهُ الْأَنْهَارُ ۚ وَإِنَّ مِنْهَا لَمَا يَشَّقَّقُ فَيَخْرُجُ مِنْهُ الْمَاءُ ۚ وَإِنَّ مِنْهَا لَمَا يَهْبِطُ مِنْ خَشْيَةِ اللَّهِ ۗ وَمَا اللَّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ
উচ্চারণ : ‘ছুম্মা ক্বাসাত কুলুবুকুম মিম বাদি জালিকা ফাহিয়া কালহিঝারাতি আও আশাদ্দু ক্বাসওয়াহ; ওয়া ইন্না মিনাল হিঝারাতি লিমা ইয়াতাফাঝ্ঝারু মিনহুল আনহার; ওয়া ইন্না মিনহা লামা ইয়াশ্শাক্কাকু ফাইয়াখরুঝু মিনহুল মা’; ওয়া ইন্না মিনহা লামা ইয়াহবিতু মিন খাশইয়াতিল্লাহ; ওয়া মাল্লাহু বিগাফিলিন আম্মা তামালুন।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ৭৪)
(কুরআনের আয়াতটির উচ্চারণ ভালোভাবে আরবি জানা কারো কাছ থেকে শিখে নিতে হবে। বাংলা উচ্চরণ পুরোপুরি সঠিক নয়)
আমল
যদি কোনো ব্যক্তির কিডনিতে পাথর হয় তবে সে ব্যক্তি সুরা বাকারার ৭৪নং আয়াতটি প্রতিদিন ৪১ বার পাঠ করবে।
তাছাড়াও যারা প্রস্রাবের কষ্টে ভোগেন তাদের জন্য তারাও এ দোয়াটির আমল করতে পারেন। আশা করা যায়, আল্লাহর রহমতে কিডনির পাথর সংশ্লিষ্ট রোগ থেকে মুক্ত থাকা যাবে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কিডনিতে পাথরসহ সংশ্লিষ্ট রোগ মুক্তিতে কুরআনি আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।