আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে সব শঙ্কা কেটে যেতে শুরু করেছে। অনুকূল, উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেওয়ার পরিবেশ দেশে এখন বিরাজ করছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে জগাখিচুড়ি ঐক্যফ্রন্টের বিরুদ্ধে ভোট বিপ্লব হবে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।
নির্বাচন নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছুই নেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা উদ্বিগ্ন হচ্ছেন, দেশি বিদেশি সবাইকে বলতে চাই, এবারের নির্বাচন খুব সুন্দর হবে। অনুকূল পরিবেশে জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দিতে পারবেন। এখানে সরকারের পক্ষ থেকে কোনও ধরণের হস্তক্ষেপ হবে না। নির্বাচন কমিশনকে যে ধরনের সহায়তা প্রয়োজন, শেখ হাসিনার সরকার সব ধরনের সহায়তা করছে।
তিনি বলেন, অন্যায় আর অসত্যের সঙ্গে কেউ থাকে না। বিএনপি অনেক দেশে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। কই, আওয়ামী লীগ তো লাখ লাখ ডলার দিয়ে লবিস্ট নিয়োগ করতে যায়নি? বিএনপি লাখ লাখ ডলার খরচ করেও মার্কিনিদের সাড়া পাচ্ছে না, অন্যায় আর অসত্যের সঙ্গে কেউ থাকে না। তিনি বলেন, বিএনপি অগণতান্ত্রিক আচরণ করতে থাকবে, আর অন্যরা (বিদেশি রাষ্ট্র) সমর্থন করতে থাকবে—এটা হয় না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি আমাদের কথায় চলে? শেখ হাসিনা সরকারের আন্ডারে না কি তারা? ওদের নিজস্ব সত্তা আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কার পক্ষে থাকবে, আর কার পক্ষে থাকবে না, এটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়াশিংটনের ব্যাপার।
হাউজ অব কমন্স ও কংগ্রেসের প্রতিবেদনে নিয়ে আমরা মাথা ঘামান না উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি আদালতের এখতিয়ার। নির্বাচনেরও আর মাত্র ২৮ দিন বাকি আছে। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারটি সরকারের হাতে নেই, আদালতও এই সময়ে এটি করতে পারবে তা মনে হয় না। তবে আদালত বিষয়টি বিবেচনায় নিতে পারে।
জামায়াতের অনেককেই বিএনপির মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টি আওয়ামী লীগ কীভাবে দেখছে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, জামায়াত এবং বিএনপির নীতি আদর্শ একই। আগে মনে করা হতো স্ট্র্যাটেজিক বিষয়ে তারা সঙ্গে আছে কিন্তু না, স্ট্র্যাটেজিক কোনও বিষয় না। তাদের সম্পর্কটা একেবারেই নীতি আদর্শের ব্যাপার। তাদের উদ্দেশ্য, লক্ষ্য এবং কর্মকাণ্ড একই। সারা বছরই তারা একসঙ্গে কাজ করে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসে প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।