বিএনপি নেতারা নিজেদের কারণে মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা তাদের ইন্টারনাল বিষয়। আমি যতদূর জানি তাদের মধ্যে দুইজন আছে যারা তাদের কাঙ্ক্ষিত জায়গা (আসন) থেকে মনোনয়ন পায়নি বলে মনোনয়ন জমা দেয়নি। আর মির্জা আব্বাস সময়মতো মনোনয়ন জমা দেয়নি। নির্বাচন কমিশন তাই মনোনয়ন জমা নেয়নি। বিএনপি মনগড়া অভিযোগ করলে তো হবে না।’
তিনি বলেন, ‘তাদের (বিএনপি) ভেতরে জগাখিচুড়ি অবস্থা বিরাজ করছে। সব নেতারা এখন মির্জা ফখরুলের কন্ট্রোলের বাইরে। এ ছাড়া ঐক্যফ্রন্টও এখন ঐক্যবদ্ধ নয়।’
বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের হয়রানি করা হচ্ছে এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তথ্য-প্রমাণ দিয়ে বলুন, কোথায় কোথায় আপনাদের প্রার্থীকে বাধা দেয়া হচ্ছে। তাহলে নির্বাচন কমিশন তার ব্যবস্থা নেবে। অন্ধকারে ঢিল ছোড়া তাদের পুরানো অভ্যাস।’
জামায়াতের ভেতরও মুক্তিযোদ্ধা আছে বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপির দৃষ্টিতে তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা। তাদের ব্যাখ্যা বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক নন। তাদের মুক্তিযোদ্ধ তাদের মনগড়া মুক্তিযোদ্ধ।’
বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রাপ্ত শাকিলা ফারজানা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফারজানা কি জঙ্গিবাদের সাথে জড়িত নয়? ফারজানা যদি জঙ্গি না হয় তাহলে জঙ্গি কে? বিএনপি যাদের মনোনয়ন দিয়েছে তাদের অনেকেই জঙ্গিবাদের সাথে জড়িত।’
জামাত ছাড়া বিএনপি অচল এমন দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জামাত বিএনপি মিলে একাকার। তারা একসাথে রাজনীতি করছে। দেখুন ২০১৪ সালে সাধারণ মানুষের ওপর যে হামলা চালিয়েছে তার সাথে কি জামাত জড়িত ছিলে না?’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে আসবে আমরাও এটা চাই। কারণ আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন চাই। আমরা চাই না একা একা নির্বাচন করতে। কিন্তু যদি নির্বাচনে না এসে বলে- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনে জয়ী হয়ে গেছে তাহলে হবে না। অবশ্য তারা নির্বাচনে না আসলে তাদের নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে সেটা তারাও জানে।’
জাতীয় পার্টি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা জাতীয় পার্টিকে বলেছি- প্রয়োজনে ৩০০ আসনে আপনাদের প্রার্থী দিয়ে দেন। কিন্তু যোগ্য এবং উইনেবল হতে হবে। আমরা যাদের যোগ্য এবং উইনেবল মনে করেছি, তাদের মনোনয়ন দিয়েছি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইউরোপীয় পার্লামেন্ট মনে করেছে বাংলাদেশে এই মূহর্তে নির্বাচনের সহায়ক পরিবেশ বিরাজ করছে। তাই তারা নির্বাচনের সময় পর্যবেক্ষক পাঠাবে না। এটা তাদের ইন্টারনাল বিষয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আহম্মদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুব, উপ দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।