ঢাকা-৭ (লালবাগ ও চকবাজার) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মোশারেফ হোসেন খোকন ‘নিখোঁজ’ হয়েছেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহসভাপতি ছিলেন তিনি। তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি।
বুধবার সন্ধ্যায় দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, দুপুরে মনোনয়নপত্র দাখিল করে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হন মোশারেফ হোসেন খোকন। এর পর থেকে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ নেয়ার পরও তার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবার সামনে তাকে তুলে নিয়ে গেছে।
তিনি অভিযোগ করেন, শরীয়তপুর-৩ (ভেদরগঞ্জ-গোসাইরহাট-ডামুড্যা) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মিয়া নুর উদ্দিন অপু নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে ভেদরগঞ্জ উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা নির্বিচারে বিএনপি নেতাকর্মীদের পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছ থেকে ১৫টি মোটরসাইকেল কেড়ে নিয়ে যায় আওয়ামী লীগের লোকজন। বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের ওপর আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলা এবং মোটরসাইকেল লুটের বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ তাদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে। তারা বলে, ‘তাদের কিছুই করার নেই।’
রিজভী বলেন, নির্বাচনী এলাকা গোসাইরহাট এলাকার মধ্য দিয়ে ফিরে আসার সময় আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা মিয়া নুর উদ্দিন অপুর গাড়িবহরে ব্যাপক আক্রমণ চালিয়ে ভাঙচুর ও বিএনপি নেতাকর্মীদের আহত করে।
রিজভী বলেন, দলের তিনজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টু, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন নবী খান সোহেল নির্বাচন করছেন না। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, তাদেরকে জিজ্ঞাসা করুন? এটি তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। দল নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সবাই যে নির্বাচন করবেন, সেটি তো ঠিক নয়।
এর আগে গত ২২ নভেম্বর যশোর-৬ (কেশবপুর) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী আবু বকর আবুকে হোটেল থেকে ‘তুলে’ নেয়ার পর বুড়িগঙ্গা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।