আগামী ৩০ নভেম্বর শুক্রবার থেকে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে ৫ দিনের জোড় শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তাবলিগের নিজামুদ্দীন মার্কাজের অনুসারী সাধারণ সাথিরা।
একই সঙ্গে মাদ্রাসাছাত্রদের দখল থেকে ইজতেমা মাঠ উদ্ধারের দাবি ও ২০১৯ সালের ১১ থেকে ১৩ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করারও দাবি জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অ্যাডভোকেট মো. ইউনুস মোল্লা।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, দারুল উলুম দেওবন্দের নাম ব্যবহার করে কিছু রাজনৈতিক আলেম তাবলিগের মতো অরাজনৈতিক সংগঠনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। অথচ দারুল উলুম দেওবন্দ তাবলিগের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জোড়কে বানচাল করতে একটি মহল বিভিন্ন তৎপরতা চালাচ্ছে। স্বার্থান্বেষী একটি মহল জোড়ের কার্যক্রম ব্যাহত করতে মাদ্রাসার কোমলমতি ছাত্রদের হাতে লাঠিসোঁটা দিয়ে ইজতেমা মাঠ দখলে রেখেছে। এই মুহূর্তে ৫-৬ হাজার মাদ্রাসাছাত্র ইজতেমা মাঠে রয়েছে। তারা শান্তিপূর্ণ জোড় ও দাওয়াতি কার্যক্রমকে সহিংস করে তোলার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বলেও অভিযোগ করেন। এই অবস্থায় কোনো প্রকার দুর্ঘটনা, সংঘর্ষ বা সংঘাত ঘটলে তার দায়ভার কাওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড, মাদ্রাসার মুহতামিম, কমিটি ও তাবলিগের মূলধারাচ্যুত বিদ্রোহী মুরব্বিদেরকেই নিতে হবে।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, অর্ধশত বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ সরকার ও সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতায় বিশ্বের ৮০টি দেশের অংশগ্রহণে বাংলাদেশের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি একটি মহল পাকিস্তানের ইন্ধনে বিশ্ব ইজতেমাকে বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নিতে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। গত বিশ্ব ইজতেমায় তাবলিগের বিশ্ব আমির মাওলানা সাদকে ফিরিয়ে দিতে তারাই সরকারকে বাধ্য করেছে। যার কারণে অনেক বিদেশি মেহমান ইজতেমা থেকে ফেরত গিয়েছেন। তাবলিগের মূলকেন্দ্র নিজামুদ্দীন মার্কাজকে উপেক্ষা করে ইজতেমার আয়োজন হলে বিদেশি মেহমানরা অংশগ্রহণ করবে না বলে জানিয়েছেন।
এসব বিষয়ে সঠিক সমাধান ও ইসলামের দাওয়াতি কাজ বিশ্ব ইজতেমাকে সুষ্ঠুভাবে সংগঠিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, মেজর জেনারেল (অব) মো. রফিক, খাদ্য বিভাগের সাবেক ডিজি রুহুল আমিন, ব্যারিস্টার গাজিউর রহমান, অ্যাডভোকেট আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা সাইফুল্লাহ প্রমুখ।