হাসপাতালে পাইলসের অপারেশনের সময় কয়েক ঘণ্টা ধরে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন পাকিস্তানের এক নারী। দেশটির শীর্ষস্থানীয় একটি হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটেছে।
গত শুক্রবার ৩৫ বছর বয়সী এক নারীকে লাহোরের সার্ভিস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তি হওয়ার পর তার অপারেশনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এসময় চিকিৎসকরা তাকে অবচেতন করেন।
কিন্তু অপারেশনের পর জ্ঞান ফিরলে ওই নারী বুঝতে পারেন তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। পরে হাসপাতালে অস্ত্রপচারের সময় ধর্ষিত হয়েছেন বলে লাহোর পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এক প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনাও রয়েছে ওই অভিযোগে। এতে বলা হয়েছে, দীর্ঘ আট ঘণ্টার অপারেশনের সময় ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ওই নারী।
অভিযোগে তিনি বলেছেন, ‘আমি গত ২৪ নভেম্বর একটি অপারেশনের জন্য সার্ভিস হাসপাতাল ভর্তি হয়েছিলাম। অ্যানেস্থেসিয়া থেকে চেতনা ফিরে পাওয়ার পর আমি বুঝতে পারি যে, অস্ত্রপচারের সময় আমাকে যৌন নিপীড়ন করা হয়েছে।’
‘এটা ছিল দীর্ঘ আট ঘণ্টার অপারেশন। কিন্তু হাসপাতাল থেকে আমাকে সেদিন সন্ধ্যায়ই ছেড়ে দেয়া হয়।’ পরে বাসায় ফেরার পর তিনি শরীরের গোপনাঙ্গে রক্তক্ষরণ এবং ব্যথা অনুভব করেন। রাতে তার এক বোন শেখ জায়েদ হাসপাতালে নিয়ে যান তাকে। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে নিশ্চিত করেন যে, তিনি ধর্ষিত হয়েছেন।
পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে ওই নারী বলেছেন, রাতে তার ব্যথা বৃদ্ধি পাওয়ায় শেইখ জায়েদ হাসপাতালে যান তিনি। এতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা তাকে ধর্ষণের ব্যাপারে নিশ্চিত করেন।
হাসপাতালে অস্ত্রপচারের সময় ধর্ষণের এই অভিযোগ তদন্তে পাঞ্জাবের স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. ইয়াসমিন রশিদ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। ওই নারীর ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে এবং অভিযোগের তদন্ত চলছে।