পাকিস্তানের করা ৪১৮ রানের জবাবে উদ্বোধনী জুটিতেই ৫০ রান করে ফেলেছিলেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার জিত রাভাল ও টম লাথাম। এরপরই শুরু পাকিস্তানি লেগস্পিনার ইয়াসির শাহর ভেলকির। বিনা উইকেটে ৫০ থেকে পরবর্তী ৪০ রানেই সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ফেলে কিউইরা।
পঞ্চাশ রানের মাথায় রাভালকে বোল্ড করে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেয়া ইয়াসির শাহ পরে নেন আরও ৭টি উইকেট। সবমিলিয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে মাত্র ৪১ রানে নেন ৮টি উইকেট। অন্য দুই উইকেটের একটিতে বিজে ওয়াটলিংকে রানআউটও করেন তিনি। হাসান আলি নেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের উইকেট।
যে কারণে প্রথম ইনিংসে ১০ উইকেট পাওয়া হয়নি ইয়াসিরের। তবে ফলো অনে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম দুই উইকেট তুলে নিয়ে সারা দিনে ঠিকই নিজের পকেটে ১০ উইকেট পুরেছেন ইয়াসির।
দিন শেষে ইয়াসির নিজের এই কীর্তিতে নিজের সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে বলেন, ‘আজকে (সোমবার) মাঠে আসার সময় ভাবছিলাম ম্যাচে দশ উইকেট পেলে মন্দ হতো না। কিন্তু আমি জানতাম না যে একদিনেই এটি পেয়ে যাবো। আমি আমার পরিকল্পনা মোতাবেক বোলিং করেছি শুধু।’
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘ইনজুরি থেকে ফিরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে একটু একটু করে নিজের ছন্দ খুঁজে পাচ্ছিলাম। তবে ইনজুরি কাটিয়ে ছন্দে ফিরতে খানিক সময় তো লাগেই। যদিও আমার বোলিং ভালো হচ্ছিলো, কিন্তু আমি একদমই ছন্দে ছিলাম না। তাই আমার মূল পরিকল্পনা ছিলো ছন্দে ফেরা।’