২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ১১:৫৪

আসন বণ্টন: দুই জোটের ‘হেভিওয়েট’ নিয়ে দুশ্চিন্তায় বিএনপি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হাওয়া লেগেছে সর্বত্র। শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র চায়ের কাপে ঝড় তুলছে নির্বাচনী আলাপ। প্রায় এক দশক পর একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের অপেক্ষায় দেশবাসী।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট (সম্প্রসারিত ২৩ দল) নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর নির্বাচনী পরিবেশই পাল্টে গেছে। ভোটারদের বিশ্বাস এবার আর ওয়াকওভার পাবে না কোনো দল।

নির্বাচনে অংশ নেযার ঘোষণা দেয়ার পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দল (সম্প্রসারিত ২৩ দল)আসন বন্টন নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা শুরু করে।

নিজ নিজ দলের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করে প্রধান শরিক বিএনপির কাছে জমা দিয়েছে ২০ দলের শরিক দলগুলো।

ঐক্যফ্রন্টের শরিক জেএসডি ও নাগরিক ঐক্যও প্রার্থী তালিকা করে রেখেছে।গণফোরামের প্রার্থী তালিকাও প্রায় প্রস্তুত।

কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগও প্রার্থী তালিকা করে রেখেছে।

ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলো কে কতটি আসন প্রধান শরিক বিএনপির কাছে চাইছে তা নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে বিএনপির দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক মিত্র ২০ দলের শরিক দলগুলো তাদের প্রার্থী তালিকা দেয়ার সময় দলীয় আসনের চাহিদার কথা জানিয়ে দিয়েছে।

সবমিলিয়ে বিএনপি এখন দুই জোটের শরিকদের কিভাবে সন্তুষ্ট করা যায় সেটি নিয়ে ভাবনায়।

বিএনপির নির্বাচনী সঙ্গী এবার দুটি বৃহৎ রাজনৈতিক জোট। দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা ২০ দল ছাড়াও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান শরিক দল রাজপথের এই বিরোধী দল।

এ দুটি মোর্চায় রাজনৈতিক দল রয়েছে ২৭টি (জোটের ২৩ দল+ ঐক্যফ্রন্টের ৪ দল)। এর বাইরেও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন আইনজীবী, সাবেক সচিব, সাবেক সামরিক কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজ মিলিয়ে বেশ কয়েকজনকে মনোনয়ন দিতে চান।

সব মিলিয়ে আসন ভাগাভাগিতে দুটি বৃহৎ জোটের শরিকদের সন্তুষ্ট রাখা বিএনপির বড় ধরনের একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। যদিও দলটির নেতারা বলছেন, উইনেবল প্রার্থী হলে শরিকদের আসন ছাড় দিতে আপত্তি নেই তাদের।

বিএনপির নেতৃত্ব মনে করছে, আসন বন্টন নিয়ে জোটের শরিকদের মধ্যে কোনো সমস্যা হবে না। বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে সবাই ছাড় দিতে প্রস্তুত। সবার চাওয়া সরকারের পরিবর্তন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার।

তবে বিএনপি নেতারা যাই বলুন না কেন, জোটের শরিকদের ছাড় দিতে গিয়ে বড় পরীক্ষায় পড়তে হবে দলটিকে। কারণ এমন অনেক আসন আছে যেখানে বিএনপি দীর্ঘ দিন ধরে রাজত্ব করে আসছে।

এবার ওইসব আসন দাবি করেছে শরিক দল। আবার কোনো কোনো আসনে বিএনপির বাইরেও শরিক দুই জোটেরই একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন চাচ্ছেন। তাদের সামাল দেয়া বিএনপির জন্য বড় ধরণের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

জানা গেছে- বিএনপির প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার পর আগামী রোববার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটি ও ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের সঙ্গে আসন সমঝোতা করবে দলটি।

বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে গত কয়েকদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দলটির স্থায়ী কমিটি।

কিন্তু বেশ কয়েকটি আসনে দলের একাধিক মনোনয়প্রত্যাশী রয়েছেন।তাই ওইসব আসনে একক প্রার্থী ঠিক করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বিএনপিকে।

দলীয় প্রার্থী তালিকার একটি খসড়া লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে পাঠানো হবে। তিনি চূড়ান্ত করবেন কে কোন আসনে লড়বেন।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি চাইছে ২৫০ টি আসনে দলীয় প্রার্থী দিতে। বাকি ৫০ টি আসন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলকে ছেড়ে দিতে। ৫০ আসন নিয়ে সমঝোতা না হলে সর্বোচ্চ ৬০ থেকে ৬৫ টি আসন শরিকদের দিতে চায় বিএনপি।

এর মধ্যে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ২০ দলকে ৩০ থেকে ৩৫ টি আসন দিতে চায় বিএনপি। আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে ২০ থেকে ২৫ টি আসনে ছাড় দিতে চাইছে দলটি।

জানা গেছে, আসন বন্টন নিয়ে বিএনপির সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তা হেভিওয়েট প্রার্থীদের নিয়ে। অন্তত ২০ থেকে ৩০ টি আসনে দুই শরিক দলগুলোর একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন। যারা কেউ কাউকে সহজেই ছাড় দেবেন না বলে মনে হচ্ছে।

ওইসব হেভিওয়েটদের কাকে বসিয়ে কাকে মনোনয়ন দেয়া হবে সেটিই এখন বড় প্রশ্ন। কেউ বিদ্রোহ করে বসলে তা সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়বে।

বিএনপি সূত্র জানায়, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন নির্বাচন করতে রাজি নন। দল ও জোট শরিকদের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচন করতে চাইলে ঢাকা অথবা ফেনীর একটি আসনে নির্বাচন করতে পারেন।

তবে ড. কামালের মেয়ে ব্যারিস্টার সারা হোসেনকে ঢাকা-১২ আসন (তেজগাঁও-রমনা) ছাড়তে রাজি বিএনপি। অবশ্য এ আসনে বিএনপি থেকে যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরবসহ পাঁচজন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত সারা হোসেনকে ছাড় দিলে দীর্ঘদিন ধরে দলের পরীক্ষিত নেতাদের ‘কোরবানি’ দিতে হবে।

মোস্তফা মহসিন মন্টুর বাড়ি কেরানীগঞ্জ। তিনি তার এলাকা ঢাকা-২ (কেরানীগঞ্জের পাঁচ ইউনিয়ন, ঢাকা সিটির তিনটি ওয়ার্ড ও সাভার উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন) অথবা ঢাকা-৩ (কেরানীগঞ্জ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন) আসন থেকে নির্বাচন করতে চান।

ঢাকা-৩ আসন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নির্বাচনী এলাকা। ঢাকা-২ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমানের নির্বাচনী এলাকা। দলের দুই প্রভাবশালী নেতাকে তাদের আসন থেকে মনোনয়ন দিতে চায় বিএনপি।

মোস্তফা মহসিন মন্টু যদি ঢাকাও ওই দুটি আসনের কোনোটিতে নির্বাচন করতে অনঢ় থাকেন তবে বড় পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে বিএনপিকে। গয়েশ্বর রায় কিংবা আমানের মতো আজন্ম বিএনপি করা নেতাদের বসিয়ে দিতে হবে।

তবে দলীয় নেতাদের আসনবঞ্চিত না করতে বিএনপি মন্টুকে ঢাকা-৭ (লালবাগ ও কোতোয়ালির একাংশ) আসন দিতে চায়।

তবে এ আসনে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য ছিলেন নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু। এবার এ আসনে পিন্টুর স্ত্রী ও মহানগর বিএনপি নেত্রী নাসিমা আক্তার কল্পনা ও পিন্টুর বোন ফেরদৌসি আহমেদ মিষ্টি, যুবদল নেতা মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, মহানগর বিএনপি নেতা টিপু সুলতানসহ ১৯ জন মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন।

মন্টুকে ঢাকা-৭ আসনে মনোনয়ন দিলে দীর্ঘদিন কারা নির্যাতিত হয়ে মারা যাওয়া নাসিরউদ্দিন পিন্টুর পরিবারের প্রতি অবিচার করা হবে। এমন ভাবনাও আছে বিএনপি নেতৃত্বের মধ্যে।

গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী চট্টগ্রাম-১৪ বা ঢাকা-৬ (কোতোয়ালি-সূত্রাপুর) আসনে মনোনয়ন চান। এর মধ্যে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৪ আসন থেকে ২০ দলের শরিক এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ এবং ঢাকা-৬ আসন থেকে সাদেক হোসেন খোকা মনোনয়ন পেয়েছিলেন।

এবার অবশ্য খোকার পরিবর্তে তার ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনসহ ১১ জন মনোনয়ন চেয়েছেন। কর্নেল অলি ২০০৮ সালের নির্বাচনে দুটি আসন থেকে নির্বাচন করেন। এবার সুব্রতকে চট্টগ্রামে দিলে অলিকে ছাড় দিতে হবে।

তবে ২০ দলের এই শীর্ষ নেতা অলিকে বিএনপি চট্টগ্রাম-১৪ আসন দিতে চায়।তাই সুব্রতকে ঢাকা-৬ ছেড়ে দিতে আগ্রহী বিএনপি।সেক্ষেত্রে খোকার ছেলে ইশরাক বঞ্চিত হবেন।

জেএসডির তানিয়া রব ঢাকা-১৮ (উত্তরা) আসন থেকে নির্বাচন করতে চান। বিএনপিও তাকে এ আসন ছাড়তে রাজি বলে জানা গেছে।

এ আসন থেকে বিগত নির্বাচনে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল নির্বাচন করেছিলেন। এবার মহানগর যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর হোসেনসহ ১২ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী।

তবে বৃহত্তর স্বার্থে শেষ পর্যন্ত এই আসনটি তানিয়া রবকে দেয়া হতে পারে।

বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৮ আসনে নির্বাচন করতে চান।ওই আসনে বিএনপির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশী।

তাই কাদের সিদ্দিকী রাজি থাকলে ঢাকা-১৩ (মোহাম্মদপুর-আদাবর) আসন ছাড়ার চিন্তা করছে বিএনপি। এ আসনে বিএনপির চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা আবদুস সালামসহ ১৪ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী।

এদিকে ২০ দলের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীও ঢাকা-১৫ আসন চেয়েছে বিএনপির কাছে। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান সেখানে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

এ আসনে বিএনপি থেকে ড. আসাদুজ্জামান রিপন, যুবদলের মামুন হাসানসহ ১৩ জন মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন।

জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন কুমিল্লা–৪ থেকে ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়নপ্রত্যাশী। ১৯৯১ থেকে ২০০১ পর্যন্ত এ আসনটি বিএনপির দখলে ছিল। ওই সময়ে চারবারই বিএনপির প্রার্থী ছিলেন মনজুরুল আহসান মুন্সী।

কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি মনজুরুল আহসান আইনি জটিলতার কারণে ২০০৮ সালে নির্বাচন করতে পারেননি। এবারও দলের হয়ে মাঠে আছেন তিনি। স্থানীয় বিএনপির নেতা–কর্মীরা তাঁকেই আবার প্রার্থী হিসেবে চান। তাই ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়ন নিয়ে বিএনপি ও জেএসডির মধ্যে সমঝোতা লাগবে।

নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এস এম আকরাম নির্বাচন করতে চান জন্মস্থান নারায়ণগঞ্জ থেকে।আওয়ামী লীগের হয়ে’ ৯৬ সালে নারায়ণগঞ্জ–৫ আসনে এমপি নির্বাচিত হন তিনি। দলীয় বিবেদে পরে যোগ দেন নাগরিক ঐক্যে। ঐক্যফ্রন্টের হয়ে এ আসনে এবার প্রার্থী হতে চান তিনি। যদিও বিএনপির গত ছয়বারের প্রার্থী আবুল কালাম এবারও বিএনপির মনোনয়ন চাইছেন।

আর বিশিষ্ট আইনজীবী শাহদীন মালিক জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার ব্যানারে সিলেট-১ আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন বলে জানা গেছে। তবে ওই আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ইনাম আহমেদ চৌধুরী নির্বাচন করতে চান।

আসন বন্টন নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০-দলীয় জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের দুটি জোট আছে। কারও সঙ্গেই এখনও আলোচনা শুরু হয়নি। সময় আছে অনেক। তবে এবার আমাদের বিজয়ী হতে হবে একটি ভীরু পরিবেশে। তাই জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা যার বেশি, তাকেই আমরা মনোনয়ন দেয়ার চেষ্টা করব।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির জেষ্ঠ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আসন বণ্টন নিয়ে প্রত্যেক দল ও জোটের সঙ্গে বসতে হবে। তারপর আমরা ঠিক করব।

তিনি আরও বলেন, শরিক দলগুলো এখন নিজেরা গোছাচ্ছে। বিএনপিও নিজেদের মধ্যে বসে প্রার্থী বাছাই করবে। যে কোনো দলই যোগ্য বা জেতার মতো প্রার্থী পেলে তাকে মনোনয়ন দিতে চাইবে।

জানা গেছে, আসন ছাড়ের ক্ষেত্রে সংখ্যা নয়, জনপ্রিয়তাকে প্রাধান্য দেবে বিএনপি। ইতিমধ্যে শরিকদের কাছ থেকে তাদের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই তালিকা ধরে বিএনপির পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ে জরিপ চালানো হচ্ছে। জরিপে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের আসন ছাড় দেয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। আসন বণ্টন নিয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনো কিছু হয়নি। এ নিয়ে জোটের শরিকদের মধ্যে কোনো সমস্যা হবে না। সবাই ছাড় দেয়ার মানসিকতা পোষণ করছেন। কারণ এ মুহূর্তে সবার লক্ষ্য দুঃশাসন থেকে মুক্তি। তাই বাস্তবতার ভিত্তিতে যোগ্য ও শক্তিশালী প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনার ব্যাপারে একমত হবেন।

প্রকাশ :নভেম্বর ২৪, ২০১৮ ১২:৩০ অপরাহ্ণ