২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৬:২২

কোলেস্টেরলের সাতকাহন

রক্তে চার ধরনের চর্বি থাকে। টোটাল কোলেস্টেরল, এইচডিএল, এলডিএল, ট্রাইগ্লিসারাইড। এইচডিএলকে ভালো কোলেস্টেরল বলে, যা রক্তে বেশি থাকলে রক্তনালিতে অ্যাপেরাস্কেলোরোসিস কম হয় ফলে রক্তনালিতে ব্লকেজ হয় না।

এলডিএল বেশি থাকলে বুকে ব্যথা বা এনজাইনা হয়ে ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ হতে পারে। যদি চর্বি জাতীয় খাবার অত্যাধিক খাওয়া হয় তবে রক্তে চর্বির পরিমাণ বাড়তে থাকে।

জেনেটিক কারণেও রক্তে চর্বি বেশি থাকতে পারে। হালকা পাতলা ব্যক্তির রক্তেও কোলেস্টেরলের আধিক্য থাকতে পারে। এক্ষেত্রে রোগীর লিভার বা অন্য কোথাও বেশি বেশি কোলেস্টেরল তৈরি হয়। ট্রাইগ্লিসারাইড বেশি হলে প্যানক্রিয়াস বা অগ্রাসয়ে প্রদাহ হয়ে একিউট অ্যাবডোমেন নামক রোগ হয়। এতে পেটে তীব্র ব্যথা হয়।

রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বেশি হলে চর্বিযুক্ত খাবার বর্জনের পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। তারপর বিভিন্ন প্রকার ওষুধ যেমন- স্টেটিন, বাইল এসিড সিক্রোয়েসট্রেন্টস ব্যবহার করা যায়। এইচডিএল কম থাকলে সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম ও প্রয়োজনে নিবোটনিক এসিড ওষুধ খেতে হবে। রক্তে টিজি বেশি হলে প্রথমেই খাবারের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।

অধিক ক্যালরিযুক্ত বা কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার বর্জন করা উচিত। টিজি নিয়ন্ত্রণে ফ্রাইবেট জাতীয় বা জেমফেপ্রোজিল জাতীয় ওষুধ খেতে হবে। স্টেটিন জাতীয় ওষুধ নিয়মিত খেলে লিভারের এনজাইম ও আলট্রাসনোগ্রাম করা উচিত।

প্রকাশ :নভেম্বর ২৪, ২০১৮ ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ