৮৮ রানের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৫ উইকেট তুলে নিয়ে বেশ স্বস্তিতে ছিল বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের সেই স্বস্তিকে অস্বস্তি বানিয়ে ছাড়েন সিমরন হেটমেয়ার। চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়ে টাইগারদের বোলারদের রীতিমত নাস্তানাবুদ করে ছাড়ছিলেন তিনি।
ষষ্ঠ উইকেটে শেন ডোরিচকে নিয়ে ৯২ রানের বড় এক জুটি গড়ে ফেলেন হেটমেয়ার। অবশেষে ভয়ংকর হেটমেয়ারকে ফিরিয়ে এই জুটিটি ভেঙেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে মুশফিকুর রহীমের ক্যাচ বানিয়েছেন এই অফস্পিনার।
মাত্র ৪৭ বলে ৫টি চার আর ৪টি ছক্কায় ৬৩ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন হেটমেয়ার। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৮০ রান। ডোরিচ ৩০ আর বিশু শূন্য রানে ব্যাটিংয়ে আছেন।
৩১ রানেই নেই ৩ উইকেট। বাংলাদেশি বোলারদের তোপে শুরুর দিকেই রীতিমত কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন সুনিল অ্যামব্রিস আর রস্টন চেজ।
চতুর্থ উইকেটে বেশ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন তারা। অ্যামব্রিস-চেজের জুটিতে আসে ৪৬ রান। অবশেষে নাঈমের ঘূর্ণিতে ভাঙে থিতু হতে যাওয়া এই জুটিটি। রস্টন চেজকে (৩১) ইমরুল কায়েসের ক্যাচ বানিয়ে টেস্টে নিজের প্রথম উইকেট তুলে নেন অভিষিক্ত নাঈম। পরের ওভারে বল করতে এসে তিনি ফিরিয়ে দেন অ্যামব্রিসকেও (১৯)।
এর আগে ক্যারিবীয়দের ওপেনিং জুটিটা অবশ্য প্রথম ১০ ওভার খেলে দিয়েছিল একেবারে দেখেশুনে। কিন্তু এই জুটিটা ভাঙার পরই দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারি দল।
১৪ রান করা কাইরন পাওয়েলকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২৯ রানের উদ্বোধনী জুটিটা ভাঙেন তাইজুল। পাওয়েল অবশ্য রিভিউ নিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। পরের ওভারের প্রথম বলে সাকিবের টার্নে বোল্ড হন ১ রান করা শাই হোপ। আর ওভারের শেষ বলে ১৩ রান করা ব্রেথওয়েটকে প্রথম স্লিপে সৌম্য সরকারের ক্যাচ বানান সাকিব।