বাংলাদেশকে ৩২৪ রানে থামিয়ে ব্যাট করতে নেমে টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও স্পিনার তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে মাত্র ৩১ রানে প্রথম তিন উইকেট হারিয়ে কাঁপছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
দ্বিতীয় দিন প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১১তম ওভারেই স্পিনার তাইজুল ইসলামের বলে বিদায় নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনার কাইরন পাওয়েল। বাঁহাতি এই স্পিনার কাইরন পাওয়েলকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ভেঙেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুর জুটি। তাইজুলকে প্যাডেল সুইপ করতে চেয়েছিলেন পাওয়েল। অ্যাঙ্গেলে ভেতরে ঢোকা বল ব্যাটে খেলতে পারেননি। আম্পায়ার এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দিলে রিভিউ নেন পাওয়েল। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখায় বল আঘাত হানতো মিডল স্টাম্পে। এতে দলীয় ২৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০ বলে দুই চারে ১৪ রান করেন পাওয়েল।
পরের ওভারেই প্রথম বল করতে এসে নতুন ব্যাটসম্যান শাহি হোপকে (১) বোল্ড করেন সাকিব আল হাসান। একই ওভারের শেষ বলে ১৩ রান করা অধিনায়ক কার্লোস ব্র্যাথওয়েটকেও (১৩) ফেরত পাঠান সাকিব। ফলে মাত্র ৩১ রানে প্রথম তিন উইকেট হারিয়ে কাঁপছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
আগের দিন অভিষিক্ত নাঈম হাসানকে ফিরিয়ে দিয়ে নবম উইকেট জুটির প্রতিরোধ ভাঙেন জোমেল ওয়ারিক্যান। প্রথম স্লিপে ধরা পড়েন শেই হোপের হাতে। টেস্ট অভিষেকে নিজের প্রথম ইনিংসে ২৬ রানে ফিরেন নাঈম। ভাঙে তাইজুল ইসলামের সঙ্গে তার ৬৫ রানের জুটি। এরপর শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্যাটিংয়ে এসে এলবিডব্লিউ হয়ে মুস্তাফিজুর রহমান বিদায় নিলে ৩২৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। তাইজুল ইসলাম ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে টসে জিতে ব্যাটিং নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু দীর্ঘদিন পর টেস্ট দলে ফেরা সৌম্য সরকারের ব্যর্থতা শুরুতে ফিরলে বিপর্যয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। কিন্তু শুরুর বিপর্যয় পুষিয়ে দেন ইমরুল কায়েস ও মুমিনুল হক। ১০৪ রানের জুটি গড়েন তারা।
কায়েস ৪৪ রানে বিদায় নিলেও ক্যারিয়ারের অষ্ঠম সেঞ্চুরি করে বেশ কয়েকটি রেকর্ডের মালিক হন মুমিনুল। শেষ পর্যন্ত তিনি ১৬৭ বলে ১০টি চার ও একটি ছক্কায় ১২০ রানে কেমার রোচের বলে বিদায় নেন। দলের নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ফিরলেও ভালো কিছু করতে পারেননি (৩৪)। ব্যর্থতার খাতায় নাম লেখান মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও।
তবে শেষ দিকে মেহেদি হাসান মিরাজ (২২) , নাঈম (২৬) ও তাইজুলের (৩৯*) ব্যাটে তিনশ রানের কোটা পার করে বাংলাদেশ।
ক্যারিবীয় বোলারদের মধ্যে শেনন গ্যাব্রিয়েল ও জোমেল ওয়ারিকন ৪টি এবং দেবেন্দ্র বিশ ও রোচ একটি করে উইকেট পান।