সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তবে কারাবিধি অনুযায়ী, তাকে চিকিৎসা প্রদান ও ডিভিশন দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বুধবার বিকালে ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদা আক্তার এ আদেশ দেন। এর আগে, আদালতে রফিকুল ইসলাম মিয়ার জামিন, ডিভিশন ও চিকিৎসার আবেদন জানান তার আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর উত্তরা থানায় করা দুদকের মামলায় রফিকুল ইসলাম মিয়াকে গত মঙ্গলবার তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. শেখ গোলাম মাহাবুব। পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। পরে সন্ধ্যায় গুলশানে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে নিজ বাসায় ফেরার পথে রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালের ৭ এপ্রিল সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে তার যাবতীয় সম্পদের হিসাববিবরণী দাখিল করার জন্য ৪৫ দিনের সময় দিয়ে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো নোটিস দেয়। ২০০১ সালের ১০ জুন তিনি দুদকের নোটিস গ্রহণ করেন। পরে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, অর্থাৎ ২০০১ সালের ২৫ জুলাই পর্যন্ত কোনো সম্পদের হিসাব তিনি দাখিল করেননি। এ ঘটনায় ২০০৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন ব্যুরোর অফিসার লিয়াকত হোসেন বাদী হয়ে রাজধানীর উত্তরা থানায় মামলা করেন। পরে ঘটনা তদন্ত করে রফিকুল ইসলাম মিয়াকে ১৯৫৭ সালের দুর্নীতি দমন আইনের ৪(২) ধারায় অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়। ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করে আদালত।