বয়স সবে ২১ বছর। চলতি মৌসুমে ইংলিশ লিগের দল এভারটনে খেলতে শুরু করেছেন তরুণ রির্কালিসন। ক্লাবের হয়ে দারুণ শুরু করায় ব্রাজিল দলে সুযোগ পেয়েছেন। এখন অনেক ব্রাজিল ভক্তের মতে, আস্থা রাখার মতো একজন স্ট্রাইকার তিনি। তার গতি, গোল করার দক্ষতা এবং উচ্চতা অন্য স্ট্রাইকারের থেকে এগিয়ে দিচ্ছি রির্কালিসনকে। ব্রাজিল দলে আগে শুরুর একাদশে স্ট্রাইকার হিসেবে জায়গা নিয়ে প্রতিযোগিতা ছিল জেসুস-ফিরমিনোর মধ্যে। সে তালিকায় নতুন যোগ হয়েছে রির্কালিসনের নাম। আগামী বছর কোপা আমেরিকার আসরে জায়গা পাওয়া এখন এই স্ট্রাইকারের লক্ষ্য।
ব্রাজিল দলের হয়ে শুরুতেই পাস নম্বর পেয়ে গেছেন রির্কালিসন। গ্যাব্রিয়েল জেসুস যেমন পেয়েছিলেন। কিন্তু নিয়মিত সেলেকাওদের আস্থার প্রতিদান দেওয়া। তাদের প্রত্যাশা মেটানো সহজ কাজ নয়। রির্কালিসন জানেন সেটা। তিনি তার জীবন দর্শন দিয়ে বলেন, ‘আমি জানতামই না যে, আমাকে কিছু করতে হবে। চেষ্টা করতে হবে। কারণ ‘আর্ট ক্লাসে’ আমার চাচা ছিলেন শিক্ষক। তিনি আমাকে পাস করিয়ে দেবেন এই ছিল আমার ধারণা। কিন্তু ওই ক্লাসে আমি ফেল করেছিলাম।’
সেই ফেল করা রির্কালিসন ব্রাজিল দলের হয়ে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে চোখ ধাঁধাঁনো দুই গোল করেন। কিন্তু ব্রাজিল দলের যোগ দেওয়ার সময় তা স্বাভাবিক হতে একটু সময় লেগেছে। এভারটনে খেলা এই তারকা স্ট্রাইকার বলেন, ‘ব্রাজিল দলে যখন যোগ দিলাম একটু ভয় লাগছিল। কিন্তু দ্বিতীয় দিনেই আমি সেটা কাটি উঠলাম। এখন আমি বেশ চনমনে থাকি। নেইমার, উইলিয়ামসরা যখন আসেন খুব মজা করেন।’
রির্কালিসন কিংবা জেসুস কারই ব্রাজিল দলে জায়গা পাকা নয়। গেল ম্যাচে যেমন নাপোলির মিডফিল্ডার অ্যালান ব্রাজিল দলে সুযোগ পেয়ে দারুণ পারফর্ম করেন। ব্রাজিল দলে তার জায়গা পাকা বলে মনে করছেন অনেকে। এছাড়া তিতের অধীনে লম্বা দৌড়ের ঘোড়া হবেন অ্যালান এমনই মত অনেকের। কাসেমিরোর ভালো একজন বদলিও পেয়ে গেছে ব্রাজিল। কিন্তু সেলেকাওদের দলের মূল শক্তি সম্ভবত অন্য তারকাদের দলে জায়গা পেতে পেছনে ছুটতে থাকা। রির্কালিসনও জানেন সেটা। আর তাই মানেন যে, সেখানেই মাঠে নামুক না কেনো ভালো করার বিকল্প নেই। ভালো করলেই তবে জায়গা মিলবে ব্রাজিলের কোপা আমেরিকার দলে।