বিকেলের ক্লান্তি টেস্টের গায়ে লাগতে দিলো না বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয় নিশ্চিত করল মাহমুদুল্লাহর দল। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ২১৮ রানের ব্যবধানে হারাল বাংলাদেশ। সিরিজ বাঁচাল ১-১ এ সমতা করে। এছাড়া এই জয় জুগিয়েছে দুয়ারে কড়া নাড়া উইন্ডিজ সিরিজের আত্মবিশ্বাসের কাঠখড়।
জয়ের জন্য জিম্বাবুয়ের দরকার ছিল ৪৪৩ রান। জিম্বাবুয়ে করতে পারলো দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের ৬ উইকেটে করা ২২৪ রান। জিম্বাবুয়ে হারল প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের পাওয়া লিডের রানে। পঞ্চম দিনের উইকেটে তারা মেহেদি মিরাজের স্পিনের জবাবই পেলো না। তবে জিম্বাবুয়ের হয়ে দুই ইনিংসে দারুণ সেঞ্চুরি তুলে নেন ব্রেন্ডন টেইলর। তিনি দ্বিতীয় ইনিংসে খেলেন ১০৬ রানের হার না মানা ইনিংস।
পঞ্চম দিনের শুরুতে উইকেট তুলে নেওয়ায় তাইজুলকে ঘিরে সতীর্থদের উচ্ছ্বাস।
এর আগে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে ৫২২ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। দলের হয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি করেন মুশফিকুর রহিম। এছাড়া মুমিনুল খেলেন ১৬১ রানের ইনিংস। মিরাজ পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। এরপর প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে থামে ৩০৪ রানে। টেইলর করেন সেঞ্চুরি। এছাড়া পিটার মুর খেলেন ৮৩ রানের ইনিংস। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস থেকে ২১৮ রানের লিড পায়।
প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করার পরে দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি করার পথে টেইলর।
এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ৬ উইকেটে ২২৪ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৪৪৩ রানের লিড হয়। দলের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি পান মাহমুদুল্লাহ। এছাড়া টেস্টের প্রথম ফিফটি পান মোহাম্মদ মিঠুন। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে বড় লক্ষ্য পাওয়া জিম্বাবুয়ে চতুর্থ দিনের শেষ বিকেলে দুই উইকেট হারায়। পঞ্চম দিনের শুরুতে হারায় আরও দুই উইকেট।
আগের দিন মাসাকাদজা এবং চেরিকে ফেরান তাইজুল ও মেহেদি মিরাজ। সকালের সেশনে মুস্তাফিজের শিকার হয়ে ফেরেন শন উইলিয়ামস। এরপর তাইজুল ফেরান সিকান্দার রাজাকে। পরের উইকেট চারটি তুলে নেন মেহেদি মিরাজ। তার শিকার হয়ে পিটার মুর, মাভুতু, ট্রিপানোরা ফিরে যান। বাংলাদেশ নিশ্চিত করে বড় জয়।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে বল হাতে ১০৭ রানে ৫ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। এছাড়া মেহেদি মিরাজ নেন ৩ উইকেট। আরিফুল হক টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম উইকেট পান। দ্বিতীয় ইনিংসে এসে মেহেদি মিরাজ পান ৫ উইকেট। তাইজুল ইসলাম দখল করেন ২ উইকেট। ঢাকা টেস্টে উইলিয়ামসকে বোল্ড করে একমাত্র উইকেটটি পান মুস্তাফিজ। দারুণ ইনিংস খেলায় মুশফিকুর রহিম হয়েছেন ম্যাচ সেরা। আর বল হাতে দুর্দান্ত করা তাইজুল হয়েছেন সিরিজ সেরা।