একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা নিশ্চিত করতে আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে বিএনপি।
মঙ্গলবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সিনিয়র নেতারা এ বিষয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে দেয়া সাজার বিরুদ্ধে আপিল এবং জামিন চাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে খালেদা জিয়ার আইনজীবী বিএনপির গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, আগামী নির্বাচনে খালেদা জিয়া যেন অংশ নিতে পারেন সে লক্ষ্যে আপিল এবং জামিন চাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে ১৭ বছরের সাজা দেন পৃথক আদালত। যার ফলে তার নির্বাচনে অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সেই সাজার বিরুদ্ধে আমরা আইনগত দিক নিয়ে আলোচনা করেছি। বৈঠকে সাজার বিরুদ্ধে আপিল ও জামিন চাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। তাছাড়া ম্যাডামের বিরুদ্ধে থাকা অন্যান্য মামলার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হওয়া বৈঠকে চলে প্রায় দুই ঘণ্টা। বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদীন, এজে মোহাম্মদ আলী, যুগ্ম মহাসচিব এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।