২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ১১:১৭

পদত্যাগকারী ৪ মন্ত্রী নির্বাচনকালীন সরকারে থাকবেন না : তোফায়েল আহমেদ

পদত্যাগকারী চার টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভায় থাকবেন না। শিগগিরই তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেননের সঙ্গে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ।

তিনি বলেছেন, তারা (টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী) পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন, কোনো একসময় নিশ্চয়ই পদত্যাগপত্র গৃহীত হবে। পদত্যাগপত্র গৃহীতের বিষয়টি এখন প্রক্রিয়াধীন।

গত ৬ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পদত্যাগপত্র জমা দেন চার টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী। তারা হলেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার পর তারা আর দায়িত্বে নেই ধরে নিয়ে পরেরদিন বুধবার সকাল নাগাদ চার মন্ত্রী অফিস না করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর সোমবারের অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকেও তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, পদত্যাগপত্র জমা দিলেও তাদের পদ শূন্য করে এখনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। এ কারণে তারা এখনো মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

চার টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীর পদত্যাগের পরও দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা পদত্যাগ করেছেন। তবে এখনো তাদের পদ শূন্য করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। এ কারণেই তারা দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। আমি যতটুকু জানি, শিগগিরই তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। আমার বিবেচনায় সংবিধান অনুসারেই সব কিছু এগোচ্ছে, এখানে কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করছি। শুধু রুটিন কাজ করছি। নীতিগত কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না। মন্ত্রিসভার রদবদলের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা পুরোপুরি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার।

নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের ঘোষণাকে ‘শুভ লক্ষণ’ হিসেবে বর্ণনা করে আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল বলেন, বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে চলেছে বলে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে। বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখ ৭ দিন পিছিয়েছে। সব কিছুই ঠিকঠাক মতই চলছে।

নির্বাচনের আগে দেশে এখন সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা আশা করি নির্বাচান পর্যন্ত এই পরিবেশটা বিরাজ করবে এবং অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যারা বিজয়ী হবেন, তারা সরকার গঠন করবে।

নির্বাচনে কি খালেদা জিয়া অংশ নিতে পারবেন-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি যতটুকু সংবিধান বুঝি তাতে করে কারও যদি দুই বছরের বেশি সাজা হয়, তারপর জামিনে মুক্তি হলেও যতক্ষণ না তার সাজা আদালত মওকুফ করেন ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও জানান, কাউকে যেন রাজনৈতিকভাবে হয়রানি না করা হয়, সেজন্য প্রত্যেক জেলায় সরকার নির্দেশনা পাঠিয়েছে।

প্রকাশ :নভেম্বর ১৩, ২০১৮ ৫:৪০ অপরাহ্ণ