সেঞ্চুরি হয়ে গিয়েছিল আগের দিনই। তবু সংবাদ সম্মেলনে আসেননি। অপরাজিত ছিলেন যে! কাল ডাবল সেঞ্চুরি করে, দেশের সর্বোচ্চ টেস্ট ইনিংস খেলে মুশফিকুর রহিম এলেন গণমাধ্যমের সামনে। হাসিখুশি। আনন্দিত। উচ্ছ্বসিত। এমন প্রাণখোলা মুশফিককে তো দেখা যায় না তেমন। ডাবল সেঞ্চুরিটি তাঁর কাছে কতটা স্পেশাল, উত্তরগুলোয় চোখ বোলালেই বোঝা যাবে ত
ম্যাচে বাংলাদেশের অবস্থান ও নিজের ডাবল সেঞ্চুরি নিয়ে
আসলে প্রথম ইনিংসের রান খুব গুরুত্বপূর্ণ। উইকেট আস্তে আস্তে খারাপ হচ্ছে। কাল আরো উল্টাপাল্টা আচরণ করবে। এ জন্য প্রথম ইনিংসটা যত বড় করা যায়, সে চেষ্টা করেছি। চেয়েছি আমাদের যেন পরে আবার ব্যাট না করতে হয়। সেদিক থেকে শুধু আমি না, মমিনুলও অনেক ভালো ব্যাট করেছে। মিরাজও। আর নিজের কথা বললে ডাবল সেঞ্চুরি একা করা যায় না, বড় জুটি লাগে। যাঁরা আমাকে সঙ্গ দিয়েছে, তাঁদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
টেস্টে অনেক দিন খারাপ ফর্মে থাকার পর এত বড় স্কোর প্রসঙ্গে
টেস্টে খুব খারাপ ছন্দে ছিলাম, তা বলব না। হয়তো বড় রান আসেনি। কিন্তু জানতাম বড় ইনিংস পাওয়াটা সময়ের ব্যাপার। ভাগ্য একটু পক্ষে থাকলেই ফিফটিকে বড় ইনিংসে পরিণত করতে পারব, এমন বিশ্বাস ছিল। এবার প্রস্তুতিও ছিল অনেক ভালো। সেদিক থেকে অবশ্যই অনেক ভালো লাগছে। কারণ ডাবল সেঞ্চুরি করা কখনোই সহজ নয়। আর মিরপুরের উইকেট যে কতটা অনিশ্চিত চরিত্রের, তা তো সবাই জানে।
ডাবল সেঞ্চুরির পরের উদ্যাপন নিয়ে
উদ্যাপনের কথা বললে, এই ইনিংসটি আমার স্ত্রীকে উৎসর্গ করেছি। ও আমাকে সব সময় উৎসাহ জোগায়; কালও (পরশু) অনেক অনুপ্রাণিত করেছে। আর এটি ছিল ২০১০ সালের পর দেশের মাটিতে আমার প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। আর মিরপুরের এই মাঠে প্রথম। এটা আমার জন্য মাইলফলক।