বাণিজ্যের প্রসার হওয়ায় বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের নাম বদলে ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন’ করতে যাচ্ছে সরকার।
এজন্য ‘বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০১৮’-এর নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এছাড়া বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের স্থল ও নৌপথ প্রশস্ত করার উদ্যোগ নিয়ে একটি চুক্তির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘১৯৭৩ সালে একটা রেজুলেশনের মাধ্যমে ট্যারিফ কমিশন শুরু করা হয়। পরে ১৯৯২ সালে প্রণীত আইনে কিছুটা সংশোধন করে নতুন আইন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে ‘ট্রেড’ শব্দটি যোগ করে ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন’ নামকরণ করা হবে।
কমিশনের নামের সঙ্গে ট্রেড শব্দটি যোগ করার ব্যাখ্যায় শফিউল বলেন, ‘পৃথিবীর অনেক দেশেই ট্রেডকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ১৯৭৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ট্যারিফ কমিশনের নাম পরিবর্তন করে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড কমিশন করা হয়েছে।
ডব্লিউটিওর পরে যেহেতু ট্রেড অনেক বেশি বিস্মৃত এবং বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ট্রেডটি বেশি অগ্রসর, এজন্য ট্রেড শব্দ যোগ করা হয়েছে।’ ট্যারিফ কমিশনের নামের সঙ্গে ট্রেড শব্দটি যোগ করতে ব্যবসায়ীদেরও দাবি রয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের স্থল ও নৌপথ প্রশস্ত করার উদ্যোগ নিয়ে একটি চুক্তির অনুমোদন দেয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এ চুক্তির আর্টিকেল ১১ এ বলা হয়েছে, পোর্ট হিসেবে বাংলাদেশের পানগাঁওকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অপর দিকে ভারতের আসামের ধুবলিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে প্রশস্ত হয়েছে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের স্থলপথ।
চুক্তির আর্টিকেল ১.২ তে রোডের সঙ্গে পানগাঁও এবং ধুবলিকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি বলা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ৮০ ও ২০ শতাংশ খরচ বহনের শর্তে আশুগঞ্জ থেকে সিলেটের জকিগঞ্জ এবং বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ থেকে ভারতের দইখাওয়া পর্যন্ত মোট ৪৭০ কিলোমিটার নদীপথ খনন করা হবে।
এ প্রকল্পে বাংলাদেশ সরকার দেবে ২০ শতাংশ খরচ আর ভারত দেবে ৮০ শতাংশ খরচ। শফিউল আলম বলেন, আর্টিকেল ২৩ এর (১) এ সংশোধন করে বাংলাদেশের ট্রাক, ট্রাকটর এবং ট্রেইলার ভারতের অভ্যন্তরে আগরতলা আইসিবি পর্যন্ত যাতায়াতের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে।
এর আগে বাংলাদেশি মালামাল আগরতলার আইসিবি পর্যন্ত পৌঁছানোর সুযোগ ছিল না। একই চুক্তিতে আর্টিকেল ২.২ তে নোম্যান্স এরিয়ায় বিজিবি এবং বিএসএফ এর সহযোগিতায় দ্বিপক্ষীয় নানা ইস্যুতে একত্র হয়ে কাজ করা যাবে বলে একটি সংশোধনী আনা হয়েছে’, যোগ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিন পুরস্কার হস্তান্তর : দেশের প্রথম বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট প্রকল্পে পাওয়া আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিসহ তিনটি পুরস্কার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের জন্য ‘অ্যাসোসিও অ্যাওয়ার্ড’, ‘অ্যাসোসিও ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ এবং ‘গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড অব চাইল্ড লেবার এলিমিনেশন অ্যান্ড ইমপ্র“ভমেন্ট অব ওয়ার্কার্স সিচুয়েশনস’ হস্তান্তর করা হয়েছে।