২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১২:৫১

নিয়মিত কায়িক পরিশ্রম করতে বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট সেক্টরগুলোর সমন্বিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

তিনি বলেন, অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনাচরণের সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। নিয়মিত কায়িক পরিশ্রমের পাশাপাশি জাঙ্কফুড গ্রহণে নিরুৎসাহিত করতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ‘অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে জাতীয় বহুখাতভিত্তিক সমন্বয়’ কমিটির প্রথম সভায় সভাপতিত্বকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

সভায় ২৯টি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও জাইকার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অসংক্রামক রোগ বিশ্বে নীরব মহামারী হিসেবে দেখা দিচ্ছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম না। অথচ সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নির্মূলে বাংলাদেশের সাফল্য সারা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। বিশেষ করে, বাংলাদেশের শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার কমানো, টিকাদানের সাফল্য, কমিউনিটি ক্লিনিকের মতো উদ্ভাবনী মডেল বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রশংসা অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, সরকার গত দশ বছরে স্বাস্থ্য অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে জনগণের স্বাস্থ্যমান উন্নয়নে কাজ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের জন্য বিশেষ অগ্রাধিকার গ্রহণে করেছেন। সম্প্রতি, স্বাস্থ্যখাতের প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার স্বাস্থ্য অবকাঠামো উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে আমাদের অর্জনগুলোকে আরও ঊর্ধ্বে নিয়ে যেতে সমন্বিত কর্মসূচি নিতে হবে।

তিনি বলেন, ক্যান্সার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিসের মতো অসংক্রামক রোগের ব্যাপকতা দেশে বেড়ে গেছে। এ ধরনের রোগের চিকিৎসার জন্য সামর্থে্যর অতিরিক্ত খরচ করতে হয় জনগণকে, যা দারিদ্র্য বাড়ার অন্যতম কারণ।

নাসিম বলেন, এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

এ জন্য জনসচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি শিক্ষাঙ্গন থেকে শুরু করে সর্বত্র প্রয়োজনীয় সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর প্রত্যেককে নিজ নিজ ভূমিকা যথাযথভাবে পালন করার তাগিদ দেন মন্ত্রী।

সভায় জানানো হয়, দেশে মোট মৃত্যুর ৬৭ শতাংশ অসংক্রামক রোগ থেকে। এর মধ্যে এক তৃতীয়াংশ হচ্ছে ৩০ থেকে ৬৯ বয়সীদের অকাল মৃত্যু। ফলে দেশের সার্বিক উৎপাদনশীলতা ব্যাহত হচ্ছে।

প্রকাশ :নভেম্বর ১৩, ২০১৮ ৯:৩৯ পূর্বাহ্ণ