রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ফলিত পদার্থবিজ্ঞান ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগকে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সঙ্গে একীভূত করার দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
সোমবার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে এই দাবীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বিজ্ঞান ভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
এর আগে গত রবিবারও এই দাবিতে দিনব্যাপী অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচী পালন করেন তারা। এদিন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রকৌশল অনুষদের অধিকর্তা ও বিভাগের সভাপতি বরাবর একটি স্মারকলিপী দেয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, দেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যুগের চাহিদার সঙ্গে মিল রেখে ফলিত পদার্থবিজ্ঞানকে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং পরিবর্তন করা হয়েছে। কিন্তু রাবিতে আগে থেকে ফলিত পদার্থবিজ্ঞান ও ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং থাকা সত্ত্বেও নতুন করে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ খোলা হয়েছে। অথচ আমাদের শিক্ষাক্রমের ৮০% মিল আছে। সামান্য পরিবর্তন আনলেই আমাদের শিক্ষাক্রম ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং সঙ্গে সম্পূর্ণ মিলে যাবে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আমাদের ইকুইভ্যালেন্ট সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরির আবেদন করতে হয়। অথচ আমরা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী। এমন বিড়ম্বনায় চাকরি ক্ষেত্রে আমাদের বৈষম্যের শিকার হতে হয়। প্রায় একই কারিকুলামে পড়েও আমরা সব সময় ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চেয়ে পিছিয়ে থাকি।
জানতে চাইলে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. আরিফুল ইসলাম নাহিদ বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে আমরা একমত পোষণ করতে পারি না কারণ একই নামে একটি বিভাগ ইতোমধ্যে আছে। তাছাড়া এই বিভাগ থেকে এখনও অনেক ভালো ভালো চাকরি আছে।
তিনি আরও বলেন, ১ম, ২য় ও ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলন করলেও ৪র্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। তারপরও আমরা মঙ্গলবার একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।
এ বিষয়ে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আবু জাফর মু. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আগে থেকেই দুটো আলাদা বিভাগ রয়েছে। এখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি দুটো বিভাগকে একীভূত করে দিতে চায় তবে দেবে। সেটা প্রশাসনের ব্যাপার। এখানে আমাদের কিছু বলার নেই।