বিশাল আকারের চৌকো গোলাপি রঙের হীরা। ঝকঝকে আলো বের হচ্ছে তার শরীর থেকে। এমন এক হীরাই এখন আলোচনার শীর্ষে। ১৯ ক্যারেট ওজনের কাছাকাছি এই হীরা যেমন দুষ্প্রাপ্য তেমনই অভিজাত। এই হীরকখণ্ডই এবার নিলামে উঠতে যাচ্ছে জেনেভায়। আগামী ১৩ নভেম্বর জেনেভায় ঐতিহাসিক জিনিসপত্রের নিলামঘর ক্রিস্টিসে এই নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।
রত্নবিশেষজ্ঞদের আশা, বাংলাদেশি মুদ্রায় এর দাম উঠতে পারে প্রায় ৩৫০ কোটি থেকে ৪১৮ কোটি টাকা। এর আভিজাত্যের কারণে এই হীরার নামকরণ করা হয়েছে ‘দ্য পিঙ্ক লেগাসি’। এর আগে এত দামি ও ঐতিহ্যময় রত্ন নিলামে ওঠেনি বলেই তাঁদের দাবি।
সাধারণত বেশির ভাগ গোলাপি হীরাই এক ক্যারেটের কম ওজনের হয়। সেখানে এই হীরার ওজন ও ঔজ্জ্বল্য এতটাই যে একে ‘বিরল’ বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। চৌকো এই হীরার রঙের ঘনত্বও অন্য সব হীরকখণ্ডকে পিছনে ফেলে দেবে।
এমনিতেই গোলাপি হীরা খুবই দুষ্প্রাপ্য, তার উপর এর ওজন নিয়েও বিস্মিত রত্নবিশেষজ্ঞরা। এর আগে ২০১৭-র নভেম্বরে হংকংয়ে ১৫ ক্যারেটের একটি গোলাপি হীরা নিলামে ওঠে। সে ক্ষেত্রে প্রতি ক্যারেটের দাম ধার্য হয় প্রায় ১৮ কোটি টাকা। আজ পর্যন্ত নিলামের ইতিহাসে সেটিই সবচেয়ে দামি হীরা হিসাবে পরিচিত ছিল।
২০১৩ সালে প্রায় ৬০ ক্যারেট ওজনের একটি হীরা নিলামে ওঠে, যার প্রতি ক্যারেটের দাম উঠেছিল প্রায় ১১ কোটি টাকা।
আপাতত এই মূল্যবান হীরকখণ্ডটি জেনেভার ওপেনহাইমার পরিবারের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। বিগত দশ বছর ধরে এই পরিবার ডে বিয়ার্স ডায়মন্ড মাইনিং সংস্থার কর্ণধার। যদিও এই হীরকখণ্ডের বর্তমান মালিকের পরিচয় দিতে তাঁরা অস্বীকার করেন।
এই হীরকখণ্ডটি দক্ষিণ আফ্রিকার কোনও এক আকরিকের খনি থেকে প্রায় একশো বছর আগে পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেন জেনেবার রত্নবিশেষজ্ঞ জিন মার্ক লুনেল। তাঁর মতে, এটিই আপাতত পৃথিবীর সেরা হীরকখণ্ড।
তাঁর মতে, ১৯২০ সাল নাগাদ এই হীরকখণ্ডটিকে কেটে ১৯ ক্যারেটের ওজন দেওয়া হয়। আগামী ১৩ তারিখ পৃথিবীর সেরা এই হিরের কত দাম ওঠে তা নিয়ে আধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রত্নব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা।