ঢাকা টেস্টে মুমিনুল হক এবং মুশফিকুর রহিমের জুটিতে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত চতুর্থ উইকেট জুটিতে এসেছে ৮১ রান। ৯২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মুমিনুল হক। মুশফিক ব্যাট করছেন ৩৭ রানে।
রাজধানীর মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ রবিবার সিরিজ বাঁচানোর মিশনে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। দলীয় ১৩ রানে জার্ভিসের বলে চাকাভার গ্লাভসবন্দি হয়ে কোনো রান না করেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন ইমরুল কায়েস। রিভিউ নিয়ে বেঁচে যাওয়া ইমরুলের সঙ্গে যোগ দেন নিজেকে হারিয়ে ফেলা মুমিনুল হক।
জার্ভিসের দ্বিতীয় শিকার হন অপর ওপেনার লিটন দাস। ইনিংস বড় করার সুযোগ পেয়েও মাত্র ৯ রান করে তিনি ক্যাচ তুলে দেন মাভুতার হাতে। ৩ রানের মধ্যে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়ে ভীষণ চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। অভিষেক টেস্টে মোহাম্মদ মিঠুন ব্যাট হাতে এমন সময় নামলেন, যখন বাংলাদেশ দল মহাবিপদে। কিন্তু শূন্য রানে আউট হয়ে দলের বিপর্যয় আরও বাড়িয়ে দিলেন মিঠুন। ত্রিপানোর বলে তিনি ব্রেন্ডন টেইলরের তালুবন্দি হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরলে ২৬ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
সিলেট টেস্টের মতো ঢাকা টেস্টেও বাংলাদেশ দলে দেখা গেছে নতুন মুখ। অভিষেক হয়েছে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া সৈয়দ খালেদ আহমেদ এবং ওয়ানডে স্পেশালিস্ট মোহাম্মদ মিঠুনের। এছাড়া আরও একটি পরিবর্তন আছে টাইগার একাদশে। দীর্ঘ ৯ মাস পর সাদা পোশাকে ফিরেছেন ‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজুর রহমান। গত ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট খেলেছিলেন বাঁহাতি এই পেসার।
এই তিনজনকে জায়গা করে দিতে বাদ পড়েছেন পেসার আবু জায়েদ চৌধুরী, বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত ও বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু। প্রথম টেস্টে এক পেসার নিয়ে খেলা বাংলাদেশ আজ দুই পেসার খেলাচ্ছে। মিরপুরে মুস্তাফিজের সঙ্গী অভিষিক্ত খালেদ। স্পিন আক্রমণে আগের ম্যাচে ১১ উইকেট নেওয়া তাইজুল ইসলামের সঙ্গী অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশ একাদশ: মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), ইমরুল কায়েস, লিটন দাস, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, আরিফুল হক, মোহাম্মদ মিঠুন, মুস্তাফিজুর রহমান