নিহত সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির মৃতদেহ খোঁজা বন্ধ করলো তুরস্কের পুলিশ। দেশটির পুলিশ বাহিনীর বরাত দিয়ে জানানো হয়, খাশোগির মৃতদেহ খোঁজা বন্ধ করলেও হত্যাকাণ্ডের তদন্ত অব্যাহত থাকবে। খবর আল-জাজিরার।
এর আগে তুরস্কের পক্ষ থেকে বলা হয়, জামাল খাশোগির টুকরো করা লাশ এসিডে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। তার তদন্তও চায় দেশটির উপরাষ্ট্রপতি ফুয়াত ওকতে।
তিনি ওই সময় বলেন, এটা এখন পরিস্কার যে তুরস্কের সৌদি কনস্যুলেটের ভিতরে জামাল খাশোগিকে হত্যাকাণ্ড ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ কে দিলেন? তার লাশ এখন কোথায়? এবং খাশোগির লাশ এসিডে পুড়ে ফেলা হয়েছে বলে যে খবর এসেছে, সবকিছুর তদন্ত করতে হবে, বলেন তিনি।
এবার দেশটির পুলিশ খাশোগির লাশ খোঁজার ইতি টানার একপ্রকার ঘোষণা দিলো ।
উল্লেখ্য, তুর্কি বাগদত্তা হেতিস চেঙ্গিসের সঙ্গে বিয়ের প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র আনতে গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করার পর খুন হন ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার কলাম লেখক ও স্বেচ্ছা-নির্বাসিত সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি। শুরুতে অস্বীকার করলেও ১৯ অক্টোবর সৌদি জানায়,তুরস্কের ইস্তাম্বুল কসন্যুলেটে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে খাশোগির মৃত্যু হয়। এর দুদিন পরই খাসোগিকে হত্যা করা হয়েছে বলেও স্বীকার করেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সৌদি আরবের দাবি, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গোয়েন্দা সংস্থার উপ-প্রধান এবং যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেহরক্ষিকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে মোট ১৮ জনকে।
তবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে,খাশোগির খুনের পেছনে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানই কলকাঠি নেড়েছেন।