প্রথমত আপনার শরীরে উচ্চ পরিমাণে কোলেস্টেরল আছে কিনা তা জানতে হলে রক্ত পরীক্ষা করতে হবে।আর এই পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যাবে আপনি কতটা হৃদরোগের ঝুঁকিতে আছেন।
কখনও কখনও আপনার শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলেও শরীরে কোন লক্ষণ বা উপসর্গ প্রকাশ পায় না। হয়তো আপনার অনেক বছর ধরেই উচ্চ পরিমাণে কোলেস্টেরল আছে কিন্তু আপনি বুঝতে পারেননি। তবে এটা নির্ণয় করা জরুরী। কারণ উচ্চ কোলেস্টেরলের সঙ্গে হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়ে।
সবসময় বোঝা না গেলেও কিছু কিছু উপসর্গের মাধ্যমে আপনি উচ্চ কোলেস্টেরলে ভূগছেন কিনা তা জানা যায়। যেমন-
১. চোখের পাতায় বা চোখের নিচের দিকে ব্যথাহীন হলুদাভ ভাব দেখলে তা এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়। এটা চোখের দৃষ্টিতে কোন সমস্যা করে না। কিন্তু এটা উচ্চ কোলেস্টেরলের লক্ষণ প্রকাশ করে।
২. আয়নার খুব কাছাকাছি গিয়ে লক্ষ্য করুন আপনার চোখের মণির চারপাশে ধূসর রঙের কোন গোলাকার দাগ দেখা যাচ্ছে কীনা? এটা সাধারণত ৪০ বছরের পরে বেশি দেখা যায়। এটাও কোলেস্টেরলের উপসর্গ বলে ধরা হয়।
৩. উচ্চ কোলেস্টেরল থাকলে রক্তনালীতে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যেতে পারে। তখন হৃদরোগের মারাত্মক ঝুঁকি থাকে।যদি উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণে রক্তনালী আটকে যায় তাহলে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাবে হাত বা পায়ে অস্বস্তিকর অনুভূতি হতে পারে।
৪. উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণে মস্তিস্কেও অক্সিজেন সরবরাহে ঘাটতি হতে পারে। এ কারণে ঘাড়ে এবং কাঁধে মাঝেমধ্যে তীব্র ব্যথা হতে পারে। অনেক চিকিৎসকের মতে, উচ্চ কোলেস্টেরল থাকলে মাথার পেছনেও তীব্র ব্যথা দেখা দিতে পারে।
৫. অতিরিক্ত হৃদস্পন্দন বেশিরভাগ সময়ই ক্ষতিকর নয়। সাধারণত ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রমের পর হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। কখনও এটা উদ্বিগ্নতা কিংবা বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেও হয়। তবে হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া কখনও কখনও হৃদরোগের কারণেও হতে পারে। অতিরিক্ত কোলেস্টেরল থাকলে হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়।
৬. অতিরিক্ত ফ্যাটি খাবার খেলে এবং ফলমূল ও শাকসবজি না খেলে কোলেস্টেরল বেড়ে যতে পারে। আবার অতিরিক্ত ওজন, অ্যালকোহল পান এবং কোন ধরনের ব্যায়াম না করলেও কোলেস্টেরল বাড়ার সম্ভাবনা বাড়ে। কারও পরিবারে যদি কোলেস্টেরলের ইতিহাস থাকে তাদেরও কোলেস্টেরল হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। সূত্র: হেলদিবিল্ডার্জড