জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা জনগণের দাবি নিয়ে গিয়েছিলাম। সংলাপ যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে চেষ্টা করব। সরকার যদি আমাদের দাবি না মেনে, আগামীকাল তফসিল ঘোষণা করে- তাহলে আমরা আগেই আমাদের কর্মসূচি ঘোষণা করে রেখেছি। আমরা আন্দোলনে আছি।
তিনি বলেন, আগামীকাল রাজশাহীতে রোডমার্চ হবে। পরদিন সেখানে সমাবেশ হবে। সংলাপ আমাদের আন্দোলনেরই অংশ। যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হওয়া উচিত। সরকার যদি তা না চায়, তার দায়ভার তাদের। আমরা আমাদের দাবিগুলো নিয়ে জনগণের কাছে যাচ্ছি।
বুধবার দুপুরে গণভবনে সংলাপ শেষে বেইলি রোডে ড. কামাল হোসেন এর বাসায় যান ঐকফ্রন্ট নেতারা। সেখানে প্রায় দুই ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে সংলাপের বিষয়বস্তু নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
তফসিলের সঙ্গে আলোচনার কোনো সম্পর্ক নেই উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন প্রয়োজনে তফসিল পেছানো হতে পারে।
তিনি বলেন, অর্থবহ নির্বাচনই আমাদের দাবি। এই দাবি নিয়েই আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসেছি। এখন এই দাবি যদি সফল না হয়, কোনো সমাধান না আসে তাহলে সেই দায় সরকারেরই।
খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আলোচনা হয়েছে, তবে কোনো সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা বলেছি, তিনি আইনগতভাবেই জামিন পাওয়ার যোগ্য।
প্রথম দফা সংলাপে সন্তুষ্ট হতে পারেননি এবার সন্তুষ্ট হয়েছেন কি না-এমন প্রশ্নে ফখরুল বলেন, জনগণ আশার আলো দেখলেই সংলাপ সফল হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়েই দাবি আদায় করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেন, সরকারের সঙ্গে তাদের আলোচনা অব্যাহত থাকবে। বল এখন সরকারের কোর্টে, শান্তিপূর্ণ সমাধানের দায়িত্ব সরকারের।
প্রধানমন্ত্রী অমাদের আশ্বস্ত করেছেন আর মিথ্যা এবং গায়েবি মামলা হবে না এসব মামলা প্রত্যাহার করা হবে এবং ঐক্যফ্রন্ট নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হবে না।
এ সময় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, তফসিল ঘোষণা করতে আমরা মানা করেছি। এরপরও যদি তারা করে, নিশ্চয় আমরা পছন্দ করব না। তাহলে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করব। আমরা আমাদের মতো করে বলেছি, তফসিল রি-সিডিউল করা যেতে পারে। আমরা সেই দাবিই তুলেছি।