রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রথম জনসভা সফল করতে আজ (মঙ্গলবার) কাক ডাকা ভোর থেকে মঞ্চ নির্মাণ, মাইক স্থাপনসহ সার্বিক প্রস্তুতি দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট সংলগ্ন উদ্যানে দক্ষিণ দিকে ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের বসার মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন নতুন জোট হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর ঢাকায় এটি তাদের প্রথম জনসভা। দুপুর ২টায় জনসভা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
আজ সকাল ৯টায় সরেজমিন দেখা গেছে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আয়োজনে জনসভা আহ্বান করা হলেও মঞ্চের চারপাশ জুড়ে শুধুই খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার মুক্তির দাবি সংবলিত বড়-ছোট ব্যানার-পোস্টার।
আসন্ন সংসদ নির্বাচনে রাজধানীর বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার মনোনয়ন প্রত্যাশী বিএনপির নেতারা দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ব্যানারে খালেদা-তারেকের ছবির পাশাপাশি নিজেদের ছবিও ছাপিয়েছেন এসব ব্যানারে।
মঞ্চের আশেপাশে বিএনপির দলীয় পতাকা ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে কাপড়ে লেখা স্লোগান সংবলিত বিভিন্ন হেডব্যান্ড বিক্রির জন্য উপস্থিত হয়েছেন হকাররা।
সকালের দিকে জনসভা মঞ্চে উপস্থিতি কম হলেও উপস্থিত ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উদ্যানে জনস্রোতের ঢল নামবে। রাজধানীর বাইরে থেকেও নেতাকর্মীরা জনসভায় যোগ দিতে ছুটে আসছেন। পুলিশি হয়রানির ভয়ে নেতাদের নির্দেশেই তারা সকাল বেলাতেই জনসভাস্থলে আসতে চাইছেন না।
জানা গেছে, দুপুর ২টায় জনসভা থেকে চূড়ান্ত আন্দোলনের ডাক দেবেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ সাত দফা আদায়ে তারা সরকারকে সময় বেঁধে দেবেন।
বুধবার পর্যন্ত অর্থাৎ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এসব দাবি মেনে নিতে হবে। অন্যথায় হরতাল-অবরোধ-লংমার্চ-নির্বাচন কমিশন ঘেরাও’র মতো কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে এই জনসভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ এ জোটের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেবেন। প্রথমবারের মতো ঐক্যফ্রন্টের মঞ্চে উঠবেন কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।