তরুণ প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীদেরকে রোবোটিক্স ও অ্যাডভান্স টেকনোলজি আগ্রহী ও উৎসাহিত করে তুলতে সম্প্রতি ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপান বাংলাদেশ রোবোটিক্স ও অ্যাডভান্স টেকনোলজিতে রিসার্চ সেন্টারের আয়োজনে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় সেমিনার ও ওয়ার্কশপ।
ইভেন্টটির আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটির কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ এবং সংগঠনের পক্ষ থেকে সাহায্য করেন নুসরাতের নেতৃত্বে তার সহযোগী বেহেস্তি, ত্বকী, ইমরুল, সোহানা, আফরিন, আরশি, আতিক, লাবিব, সাব্বির, ফাহিম, সাজ্জাদ, সাকিব, সাদাত, অর্পা, সারিকা, আনিকা।
প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. রাশেদুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আহমেদ ওয়াসিফ রেজা, বিশেষ অথিতির বক্তব্য পেশ করেন ড. ফখরুল আলম প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্যবিদ্যালয়, নাসিমা সুলতানা চেয়ারম্যান, ঈসা খাঁ ফাউন্ডেশন, মো: মাকসুদুর রহমান ভূইয়াঁ, অতিরিক্ত পরিচালক, ইনফরমেশন ডিভিশন, ইউজিসি।
গেস্ট স্পিকার হিসেবে বক্তব্য পেশ করেন ড. মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসাইন, চেয়ারম্যান, বিদ্যুৎ ও কম্পিউটার বিভাগ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং উপদেষ্টা জাপান বাংলাদেশ রিসার্চ সেন্টার। আরও উপস্থিত ছিলেন টেকনিকাল উপদেষ্টা জুবায়ের আল বিল্লাহ, টেকনিকাল ডিরেক্টর ও কো-ফাউন্ডার আহসানুল আকিব, বুয়েট প্রতিনিধি আবুল আল-আরাবী।
তারা প্রতিষ্ঠানটির তৈরি এআই এবং আইওটি ভিত্তিক হিউমানওয়েড রোবট প্রদর্শন করেন। তাছাড়া ড্রোন নিয়ে ওয়ার্কশপ ও প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ ফারহান ফেরদৌস জাপান থেকে বলেন, দেশের গ্রাম পর্যায়ের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে শহর পর্যায় পর্যন্ত যেন রোবোটিক্স ও অ্যাডভান্স টেকনোলজির ছোঁয়া পৌঁছোয় এবং গবেষণা ও আবিষ্কারের দিকে যেন সবাই আগ্রহী হয়।
সে লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমিকভাবে এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন অব্যাহত থাকার প্রত্যয়ে সকলের সাহায্য-সহযোগিতা কামনা করেছেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রায় ১৫০ জনেরও অধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন ও ড্রোন তৈরির বিভিন্ন কলাকৌশল নিয়ে ধারণা লাভ করেন। সর্বশেষে অংশগ্রহণকারী ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানটিতে সাপোর্টে ছিল পারটেক্স গ্রূপ, যমুনা ব্যাংক, মেসার্স মানকো কাস্টিং ইন্ডাস্ট্রিস এনং ঈসা-খা ফাউন্ডেশন। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল রেডিও মাতৃকা, জাগো এফ.এম ও ড্রিম ডিভিসর।