নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় ঘনিয়ে আসায় ৭ নভেম্বরের পর আর কোনো সংলাপ হবে না বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আট তারিখ পর্যন্ত যেতে পারছি না, সাত তারিখে শেষ করব। সাত তারিখের পরে আর কোনো আলোচনা নয়।’
আজ শনিবার জেল হত্যা দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন।
মোট ৮৫টির মতো দল আলোচনায় বসার সুযোগ চেয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সব মিলিয়ে ৮৫টার মতো রাজনৈতিক দল সংলাপ চেয়েছে। তবে সংলাপ দীর্ঘ সময় চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, কারণ শিডিউল ঘোষণা এর মধ্যে হয়ে যাবে।’
সংলাপ নিয়ে বিএনপির প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সবাই তো আর সন্তুষ্ট হবে না। বিএনপি সন্তুষ্ট হবেন কি হবেন না, আমরা দলনেতার (কামাল হোসেন) কথা বিবেচনায় নিচ্ছি। তিনি কিন্তু বলেছেন- ভালো আলোচনা হয়েছে’। আমরা সেখানেই আপাতত থাকি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গতকাল বিকল্পধারার ওনারাও কিন্তু একই সুরে কথা বলেছে, মুক্তিযুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর ব্যাপারে কিন্তু তারা দ্বিমত করেননি। তাদের কিছু কিছু দাবি আমাদের নেত্রী মেনে নেওয়ার কথাও বলেছেন। যেগুলো সংবিধানের বাহিরে যাবে না, সেগুলো।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিকল্প ধারার দাবি অনুযায়ী কিছু কিছু বিষয়ে ইলেকশন কমিশনকে বলার জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনুরোধ করবে বলেও বলেছেন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন করতে চায় এবং নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণও প্রত্যাশা করছে। কেউ সহিংসতার পথ বেছে নিলে সমুচিৎ জবাব দেওয়া হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সতর্ক আছি; কারণ কারও মনে যদি কোনো মতলব থাকে, কেউ যদি সংলাপে লোক দেখানো অংশ নিয়ে ভেতরে ভেতরে নাশকতার ছক আঁকে, যদি সহিংসতার দিকে পা বাড়ায়, সেই দিকেও আমরা সতর্ক আছি।