ইরাকে রহস্যজনক কারণে মারা যাচ্ছে চাষ করা কার্প–জাতীয় বিভিন্ন মাছ। বিষয়টি সেখানকার মাছচাষিদের মধ্যে উদ্বেগ ও ভয় সৃষ্টি করছে। বাগদাদের দক্ষিণাঞ্চলে কয়েকজন চাষি তাঁদের খাঁচায় চাষ করা ও ফোরাত নদীতে মরা মাছ ভাসতে দেখেছেন।
গাড়ির টায়ার, পলিথিনের সঙ্গে শত শত রুপালি মাছের স্তূপ গতকাল শুক্রবার একটি সেতুর নিচে জমে থাকতে দেখা যায়। এসব মাছ নিয়ে পাখিদের হুটোপুটি চোখে পড়ে।
বাগদাদের ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে ব্যাবিলন প্রদেশে সাদত-আল-হিনদিয়া মাছের খামারেও মাছ মরে ভেসে থাকতে দেখা যায়।
মাছচাষি হুসেইন ফারাজ মনে করছেন, বিষক্রিয়ায় এসব মাছ মারা যেতে পারে। কেউ কেউ অবশ্য বলছেন, অসুস্থ হয়ে মরছে। কেউ বলছেন, রাসায়নিক প্রয়োগের কারণে এসব মাছ মারা যেতে পারে।
মাছচাষি হুসেইন বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে এর সমাধানের আশায় রয়েছি। সরকার পানি পরীক্ষা করে দেখুক। ভবিষ্যতে পানি বিষাক্ত হয়ে উঠবে বলে ভয় পাচ্ছি।’
এর মধ্যে ইরাকের মানুষকে একবার পানিদূষণে ব্যাপক দুর্ভোগ মুখে পড়তে হয়। গ্রীষ্মে বসরা এলাকা পানিদূষণের কারণে এক লাখের বেশি মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। সেখানেও মানুষ হঠাৎ করে মাছ মরে ভেসে উঠতে দেখেছিল।
ওই এলাকার কৃষি কর্মকর্তা জাফর ইয়াসিন বলেন, হঠাৎ এ অসুস্থতা রহস্যজনক। এটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ওই খামারের ৯০ শতাংশ মাছ মারা গেছে। খামারিরা রেগে গেছেন।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ইরাকে প্রতিবছর ২৯ হাজার টন মাছ উৎপাদিত হয়। সেখানে মাছের গ্রিলের সঙ্গে টমেটো, পেঁয়াজ ও মসলার বিশেষ সস অনেকের প্রিয় খাবার।
ইরাকের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ব্যাবিলন এলাকার পানির নমুনা সংগ্রহ করেছে। কিন্তু এখনো পরীক্ষার ফল জানায়নি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইফ আল বাশার বলেন, মাছ খেয়ে অসুস্থতার খবর পাওয়া যায়নি।