গত ২০১৫ সালে করা ছয় জাতির পারমাণবিক চুক্তির আওতায় ইরানের বিরুদ্ধে যেসব মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বাতিল করা হয়েছিল, সেগুলো পুরোপুরি পুনর্বহাল করতে যাচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। খবর বিবিসি
হোয়াইট হাউসের মতে, ইরানের জ্বালানি, জাহাজ ও ব্যাংকিং খাতকে লক্ষ্য করে এটিই ছিল সবচেয়ে কঠোর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা।
শুক্রবার মার্কিন এক টেলিভিশন চ্যানেলে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়ার পর, এক টুইট বার্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “শীত আসছে”।
তবে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও যে আট দেশ ইরানের তেল আমদানি করছে তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো শাস্তির বিষয় উল্লেখ থাকছে না এতে।
এদিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) যে দেশগুলো এই পারমাণিবিক চুক্তি সমর্থন করে তারা ইরানের সঙ্গে তাদের বৈধ ব্যবসায়িক লেনদেন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
গত মে মাসে ছয় জাতির পারমাণবিক চুক্তিকে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ আখ্যা দিয়ে তা থেকে একতরফাভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এরপর থেকেই ইরানের বিরুদ্ধে একের পর এক পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, এটা ইরান অর্থনীতির প্রধান খাতগুলো লক্ষ্য হিসেবে নিয়েছে।
তবে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালে ইরান উদ্বিগ্ন নয়।