অ্যাপল কোম্পানির আর্থিক মূল্য কমে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারে প্রযুক্তি নির্মাতা এই জায়ান্টের শেয়ারের দর কমে ৭ শতাংশ। আর এতেই সাময়িকভাবে কোম্পানির ভ্যালু কমে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যায়। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
চলতি বছর আয় বাড়াতে নতুন কৌশল নেয় অ্যাপল। ফোনের দাম বাড়িয়ে দেয় তারা। এতে গত তিন মাসে বিক্রি খুব বেশি না বাড়লেও ভালো মুনাফা দেখেছে অ্যাপল। বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে অ্যাপলের আয় বাড়ে ২০ শতাংশ বা ৬২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া মুনাফা হয় ১৪ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার।
তবে সামনের মাসগুলোতে সম্ভাব্য দুর্বল বিক্রির বিষয়ে বিনিয়োগকারীরা কিছুটা সতর্ক হয়ে পড়েছেন। আর তাতে কিছুটা দর কমে শেয়ারের। এর মধ্যে অ্যাপল ঘোষণা দিয়েছে, কত ইউনিট ফোন বিক্রি হচ্ছে, এ বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের কোনো তথ্য দেবে না তারা। আর এতেই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক ছড়ায়। কম দামে শেয়ার ছেড়ে দিতে থাকেন বিনিয়োগকারীরা। গতকাল পুঁজিবাজারের লেনদেনের শুরুতে শেয়ারের দর কমে ৭ শতাংশ।
কোম্পানির নির্বাহীরা তাঁদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে যুক্তি দেখাচ্ছেন যে, এই তথ্য কোম্পানির ভালো–মন্দ বিচারের জন্য সঠিক নির্দেশক নয়।
বিশ্লেষকেরা সতর্ক করে দিয়েছিলেন, বিনিয়োগকারীরা এই তথ্য প্রকাশ না করার বিষয়টি কোম্পানির দুর্বলতা হিসেবে দেখতে পারেন।
২০১৭ সালে বিশ্বব্যাপী সব কোম্পানির স্মার্টফোন বিক্রিই কিছুটা কমে যায়। তবে অ্যাপলের ফোনের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত এই কম চাহিদার মধ্যেও আয় বাড়াতে সাহায্য করে। জুলাই-আগস্ট-সেপ্টেম্বর, এই তিন মাসে অ্যাপলের ৪ কোটি ৬৯ লাখ আইফোন বিক্রি হয়েছে; যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে সামান্য বেশি। গত বছর এই সময় (জুলাই–আগস্ট–সেপ্টেম্বর) ৪ কোটি ৬৭ লাখ আইফোন বিক্রি হয়। এ ছাড়া ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক এই কোম্পানিটির ‘সার্ভিস’ খাত থেকে ব্যাপক আয় আসে। গ্রাহকদের অ্যাপ স্টোর, অ্যাপল মিউজিক, অ্যাপল পে সেবা দিয়ে থাকে অ্যাপল। তৃতীয় প্রান্তিকে এই খাত থেকে অ্যাপলের আয় হয়েছে ১ হাজার কোটি ডলার।
গত সেপ্টেম্বরে অ্যাপলের আর্থিক মূল্য দাঁড়ায় ১ ট্রিলিয়ন (১ লাখ কোটি) ডলার। এতে প্রথম কোনো পাবলিক কোম্পানির আর্থিক মূল্য ১ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়।