২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১:৩৫

বাংলাদেশে অপরিশোধিত চিনি রফতানি করতে চায় ভারত

বাংলাদেশে অপরিশোধিত চিনি রফতানি করতে চায় ভারত। একই সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলোর আধুনিকায়ন এবং ‘র’সুগার থেকে পরিশোধিত চিনি উৎপাদনে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পার্শ্ববর্তী এ দেশটি।

বৃহস্পতিবার শিল্প মন্ত্রণালয়ে ভারতের খাদ্য সচিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনারসহ একটি প্রতিনিধি দল শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে ভরতের পক্ষ থেকে এ প্রস্তাব দেয়া হয়। এ লক্ষ্যে শিগগিরই ভারতের পক্ষ থেকে একটি সমন্বিত প্রস্তাব শিল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এ প্রস্তাবের ভিত্তিতে সহায়তার ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে তা বাস্তবায়নের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে।

বৈঠকে ভারতের খাদ্যসচিব রবিকান্ত, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগ, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান একেএম দেলোয়ার হোসেনসহ ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে বাংলাদেশের চিনি শিল্পের আধুনিকায়ন, ‘র’সুগার থেকে রিফাইন্ড সুগার উৎপাদন, আখচাষিদের প্রশিক্ষণ, উচ্চ রোগ প্রতিরোধসম্পন্ন আখজাত হস্তান্তর এবং চিনি শিল্পের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ওপর আলোচনা হয়।

ভারতের খাদ্যসচিব রবিকান্ত বলেন, উচ্চ প্রযুক্তির আখচাষের মাধ্যমে ভারত উদ্বৃত্ত পরিমাণে চিনি উৎপাদন করছে। এ চিনি অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে তারা প্রতিবেশী দেশগুলোসহ আন্তর্জাতিক বাজারে রফতানি করতে আগ্রহী। বাংলাদেশে চিনি উৎপাদনে ঘাটতি থাকায় তারা এদেশে অপরিশোধিত চিনি রফতানির জন্য শিল্পমন্ত্রীর সহায়তা চান। এক্ষেত্রে তারা প্রযুক্তিগত সহায়তার পাশাপাশি প্রয়োজনে ভারতীয় ‘লাইন অব ক্রেডিট’চুক্তির আওতায় বাংলাদেশকে আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব দেন।

চিনিকলের আধুনিকায়ন, উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো এবং ‘র’সুগার পরিশোধনের সুযোগ তৈরি করতে ভারতের সহায়তার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, এ বিষয়ে সমন্বিত প্রস্তাব পাওয়ার পর বাস্তবায়নে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তা কার্যকরের উদ্যোগ নেয়া হবে।

বিএসটিআই’র পরীক্ষণ সনদ গ্রহণ প্রসঙ্গে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ভারতের জাতীয় মান নির্ধারণী সংস্থা এনএবিএল ইতোমধ্যে ২১টি পণ্যের অনুকূলে বিএসটিআই’র পরীক্ষণ সনদ গ্রহণ করেছে। আরও ১২টি পণ্যের পরীক্ষণ সনদ গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। দ্রুত এসব পণ্যের পরীক্ষণ সনদ গ্রহণ করতে ভারতীয় খাদ্য সচিব এবং হাইকমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

প্রকাশ :নভেম্বর ১, ২০১৮ ৩:৫৫ অপরাহ্ণ