বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার চামেলী খাতুনের (২৭) সহায়তায় এগিয়ে এলেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান।
চামেলী জানান, আমার এই কঠিন সময়ে এগিয়ে এসেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। গতকাল রাতে ফোন দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান ভাইও। তারা দুজনই আমাকে সর্বাত্মক আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।
২০০৮ সালে চামেলীর ডান পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায়। এর কমাস পর ছিঁড়ে হাতেরটা। চিকিৎসায় একটু সুস্থ বোধ করলেও খেলা ছাড়েননি। ২০০৯-এ ব্যায়ামাগারে ভারোত্তোলন করতে গিয়ে প্রথম কোমরে ব্যথা পান। বিশ্বকাপ খেলার জন্য সে ব্যথাও পুষেছিলেন বছর দুয়েক। কিন্তু তারপর আর পারেননি।
বিশ্বকাপ শেষে দেশের প্রথম প্রমীলা নারী দলের সবাইকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল আনসার ভিডিপি সদর দফতর থেকে। চামেলির আনসার ক্রমিক ৬৭২। চাকরি সরকারিকরণ হওয়ার পর তিনি ২০১২-তে খেলা ছেড়ে দেন। তত দিনে কোমর ও পিঠের ব্যথাটা বেশ বেড়েছে। বাবাসহ পরিবারের তিনজন সদস্য এখনো তার ওপর নির্ভরশীল। বছর খানেক আগে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তিনি জানতে পারেন তার ভার্টিভারা কলামের অর্থাৎ মেরুদণ্ডের মূল হাড়ের যে জয়েন্ট, তার ফাঁকে যে ডিস্ক থাকে সেগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। চিকিৎসক দ্রুত সার্জারির পরামর্শ দিলেও অর্থের অভাবে চামেলি তা করতে পারেননি। বছর না ঘুরতেই অবস্থার অবনতি হয়ে যায়। এখন অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে পুরো ডান পাশ তার অবশ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় একমাত্র চাকরিটাতেও অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন তিনি।