যশোর জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কবির হোসেন পলাশ হত্যা মামলায় ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ের আরো এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অপরদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দুইজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ রব হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণাকালে সাজাপ্রাপ্তদের চারজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকী পাঁচজন পলাতক রয়েছেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন- শহরের ষষ্টিতলাপাড়ার তরিকুল ইসলাম, চাঁচড়া রায়পাড়ার প্রিন্স ওরফে বিহরী প্রিন্স, গাড়িখানা রোডের জাহিদুল ইসলাম ওরফে কালা মানিক, ঘোপ বৌ-বাজার এলাকার রবিউল শেখ, ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের সজল, টুটুল গাজী, বেজপাড়ার টিবি কিনিক এলাকার ফয়সাল গাজী, রেলগেট পশ্চিমপাড়ার শহিদুল ইসলাম খান ওরফে সাইদুল ও বাঘারপাড়া বহরমপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম। আর খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- চাঁচড়া রায়পাড়া এলাকার মাসুদ রানা ওরফে মাসুদ ও পূর্ব বারান্দিপাড়া কবরস্থান রোডের রাজ্জাক ফকির।
এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি অ্যাডভোকেট এনামুল হক জানান, ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় যশোর শহরের ঈদগাহ মোড়ে সন্ত্রাসীরা পলাশকে গুলি ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের বোন ফারহানা ইয়াসমিন ১৩ ডিসেম্বর অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি ডিবি পুলিশ ও পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) দুই দফায় তদন্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
তিনি আরো জানান, সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে পলাতক আছেন শহিদুল ইসলাম খান ওরফে সাইদুল, শহিদুল ইসলাম, প্রিন্স ওরফে বিহরী প্রিন্স, জাহিদুল ইসলাম ওরফে কালা মানিক ও রবিউল শেখ।