স্পোর্টস ডেস্ক:
বাংলাদেশের দেয়া ১৮৩ রানের সাদামাটা লক্ষ্যে দারুণ ব্যাটিং করছে অস্ট্রেলিয়া। বিধ্বংসী ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ দেখে শুনেই এগিয়ে যাচ্ছেন। ১৬ ওভারে ১ উইকেটে ৮৩ রান তুলে প্রথম পানি পানের বিরতিতে যায় তারা। তবে এ বিরতির সময়ই বৃষ্টি নামে মাঠে। ফলে বিরতি শেষ হলেও আর খেলা শুরু হয়নি। বৃষ্টি নামার পরই উইকেট কাভার দিয়ে ঢাকা হয়। ইংল্যান্ডের সব মাঠেই পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা খুব ভালো। তাই বৃষ্টি থামলে আধা ঘণ্টায় ম্যাচ শুরু করা যাবে বলে আশা করা যায়। এদিন সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নির্ভার ব্যাটিং করতে থাকেন দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ। শুরু থেকেই রানের গতি বাড়িয়ে খেলেছেন দুজনে। তবে এই জুটিকে বিস্ফোরক হতে দেননি রুবেল হোসেন। দলীয় ৪৫ রানে ফিঞ্চকে ফিরিয়ে দিয়েছেন ব্যক্তিগত ১৯ রানে।
এরপর উইকেটে আসেন অধিনায়ক স্মিথ। ওয়ার্নারের সঙ্গে দেখে শুনে ব্যাটিং করে এর মধ্যেই গড়েছেন ৩৮ রানের জুটি। ২৫ বলে ২২ রান করে উইকেটে আছেন অধিনায়ক। আর ৪৪ বলে ২টি চারে ৪০ রানে ব্যাট করছেন ওয়ার্নার। এর আগে টসে দিবা-রাত্রির ম্যাচে টসে জেতেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি। বাঁচা-মরার লড়াইয়ে সিদ্ধান্ত নেন ব্যাটিংয়ের। কিন্তু এক তামিম ইকবাল ছাড়া বাকি সবাই ব্যর্থ। ব্যাটসম্যানদের আশা যাওয়ার মিছিলে ৪৪.৩ ওভারে ১৮২ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। মোট রানের অর্ধেকের বেশি এসেছে তামিমের ব্যাট থেকে। ৯৫ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা তামিম এগুচ্ছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দিকে। তবে নার্ভাস নাইনটির শিকার হয়ে সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৫ রান দূরে থামেন তিনি। ১১৪ বলের ইনিংসে ৬টি চারের সঙ্গে ৩টি ছক্কা মেরেছেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান। ইনিংসের উদ্বোধন করা তামিম উইকেটে ছিলেন ৪৩ ওভার পর্যন্ত। তামিম আউট হওয়ার পর মাত্র ১ রান যোগ করতে হারায় শেষ ৩ উইকেট।
বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন সাকিব আল হাসান। মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান। বাকিরা কেউ দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মিচেল স্টার্ক তামিমের উইকেটটিসহ নেন ৪ উইকেট। ২৯ রান খরচায়। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের লেগ স্পিন ভীতির কারণে এ ম্যাচে অ্যাডাম জাম্পা সুযোগ পান অজি একাদশে। তিনি ১৩ রানে নেন ২ উইকেট।
দৈনিক দেশজনতা এন/এইচ