পটুয়াখালী পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং বেশকিছু উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করতে পটুয়াখালী পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে হেলিকপ্টারে করে তিনি পায়রায় পৌঁছান।
সেখানে ১৬টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন শেষে দুপুর আড়াইটায় আকাশপথে বরগুনার তালতলী আসবেন।
বিকাল পৌনে ৩টায় বরগুনার বিভিন্ন উপজেলার ২১টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।
উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন শেষে বিকাল ৩টায় তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত তালতলী সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বিশাল জনসভায় ভাষণ দেবেন।
ইতিমধ্যে ‘স্বপ্নের ঠিকানা’র খবর সাগরপাড়ের আন্ধারমানিক নদীতীরের মানুষের মুখে মুখে আলোচিত হচ্ছে।
পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ১০০২ একর জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে নির্মিত আধুনিক সুবিধা সংবলিত পল্লী ‘স্বপ্নের ঠিকানা’র চাবি নিজ হাতে ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে তুলে দেবেন।
১৬ একর জমিতে সব সুবিধা সংবলিত পল্লীটি করা হয়েছে। নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি ও বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড এ পল্লী নির্মাণ করে।
প্রধানমন্ত্রী পায়রা বন্দরের শেখ হাসিনা ফোর লেন সড়ক, পায়রা সমুদ্র বন্দর মসজিদ, পায়রা বন্দরের মাল্টিপারপাস ভবন, অফিসার্স গেস্ট হাউস, পায়রা বন্দরের স্টাফ ডরমিটরি ভবন, কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজ, মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ ও আলহাজ জালাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজসহ তিনটি ৪ তলা নবনির্মিত একাডেমিক ভবন ও পায়রা বন্দর প্রকল্প এলাকার সার্ভিস জেটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
২১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয় এ সার্ভিস জেটি স্থাপন করা হয়েছে। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন সমুদ্র বন্দরের মূল চ্যানেল রাবনাবাদ পাড়ের চারিপাড়ায় প্রায় চার হাজার কোটি টাকা ব্যয় নির্মাণাধীন ৬৫০ মিটার দীর্ঘ টার্মিনাল।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন উপজেলা পর্যায়ে প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (৩য় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের কলাপাড়া উপজেলার কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ কাজের। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী পায়রা সমুদ্র বন্দরের ভূমি অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের লালুয়া, চান্দুপাড়া (উত্তর), চান্দুপাড়া (দক্ষিণ), লেমুপাড়া, ধুলাসার ও লোন্দা মৌজায় জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ছয়টি পুনর্বাসন প্রকল্পের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
এরপর প্রধানমন্ত্রী বরগুনা জেলা পরিদর্শন ও ২১টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।
উন্নয়ন প্রকল্পগুলো হল- বরগুনা সদর হাসপাতাল ৫০ শয্যা থকে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ, বরগুনা জেলা গ্রন্থাগার, বরগুনা পুলিশ লাইনের মহিলা ব্যারাক, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুদের হোস্টেল নির্মাণ, ঘূর্ণিঝড়, বরগুনা সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিস, ডৌয়াতলা ইউনিয়ন ভূমি অফিস, বুড়িরচর ইউনিয়ন ভূমি অফিস, হোসনাবাদ ইউনিয়ন ভূমি অফিস, সিডর ও আইলায় উপকূলীয় এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পুনর্বাসন, বরগুনা-বাকেরগঞ্জ-কাঁঠালতলী- পাদ্রীশিবপুর-সুবিদখালী সড়ক, হাজার বিঘা-কামরাবাদ-পুরাকাটা ফেরিঘাট সড়কের চেইনেজ ও আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ, বরগুনা সদরের গৌড়িচন্না ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন, বামনা উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, বেতাগী উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, বেতাগী উপজেলার বদনাখালী খালের ওপর গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ, তালতলী উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন, বামনা উপজেলা পরিষদ ভবন, আমতলী থানা ভবন, আমতলী ইউনুস আলী খান কজেলের ৪র্থ তলা একাডেমি ভবন কাম সাইক্লোন শেল্টার, এম বালিয়াতলী ডিএন কলেজের ৪র্থ তলা একাডেমিক ভবন কাম সাইক্লোন শেল্টার, সৈয়দ ফজলুল হক ডিগ্রি কলেজের ৪র্থ তলা একাডেমিক ভবন কাম সাইক্লোন শেল্টার, তালতলী প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্র্র, তালতলী ও বামনা উপজেলায় একটি বাড়ি একটি খামার ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ভবন।