বর্তমান সময়ে খাদ্যাভাস এবং জীবনযাপন পদ্ধতির কারণে বিশ্ব জুড়ে হৃদরোগ, স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুঝুঁকি বাড়ছে। যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় দেখা গেছে, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের পাশাপাশি যারা ধূমপান ত্যাগ এবং শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক কমে যায়।
গবেষণার জন্য গবেষকদল ৩ লাখ ৬ হাজার ৪৭৩ পুরুষ ও নারীর ওপর গবেষণা চালান যাদের বয়স ৪০ থেকে ৭৩ বছরের মধ্যে। এদের কারও স্ট্রোক ও হৃদরোগের কোনো ইতিহাস ছিল না।
সাস্থ্যকর জীবনযাপন বলতে বিজ্ঞানীরা চারটি ফ্যাক্টরকে বুঝিয়েছেন। প্রথমত ধূমপান করা যাবে না, খাদ্য তালিকায় ফল থাকতে হবে, খাদ্য তালিকায় সবজি ও মাছ থাকতে হবে, ওজন বাড়ানো যাবে না এবং নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে।
গবেষকরা বলছেন, বংশগতভাবে যাদের স্ট্রোকের পারিবারিক ইতিহাস আছে তারাও যদি উপরোক্ত চারটি বিষয় মেনে চলেন তাহলে তাদেরও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যাবে।
দৈনন্দিন খাদ্য তালিকা হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্কের উপর দারুন প্রভাব ফেলে। কিছু খাবার আছে যেগুলো দৈনিক খাদ্যতালিকায় যোগ করলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যাবে। যেমন-
ওটস : এতে এক ধরনের ফাইবার থাকে যা শরীরের খারাপ ধরনের বাইল অ্যাসিড বের করতে সাহায্য করে যা কোলেস্টেরল থেকে তৈরি হয়। প্রতিদিন ওটস খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
বাদাম: এতে প্রচুর পরিমাণে অসম্পৃক্ত ফ্যাট থাকে যা হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে দারুন উপকারী।
শিম জাতীয় : শিম জাতীয় যেকোন সবজিতে প্রচুর পরিমাণে অ্রান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রোটিন ও ফাইবার থাকে। নিয়মিত এগুলো খেলে স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
বেরী : ব্লুবেরী, স্ট্রবেরী এবং বেরী জাতীয় সব ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এই জাতীয় ফল নিয়মিত খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক কমে যায়।