ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আবারও ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত ডিন’স কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সাধারণ পরীক্ষার্থীসহ বিভিন্ন মহলে এ সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তারা বলছেন, প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার কারণে যারা প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র পেয়েছেন, তাদের অকৃতকার্য হওয়ার কথা নয়। নিশ্চয়ই তারা পাস করেছেন। কাজেই শুধু উত্তীর্ণদের পরীক্ষা নিলে অপরাধীরাই এ সিদ্ধান্তের সুবিধাভোগী হবে।
ভর্তিচ্ছুরা বলছেন, ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় গত ১২ অক্টোবর মোট ৭৫ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ১৮ হাজার পাস করলেও ফেল করেছেন ৫৭ হাজার শিক্ষার্থী। প্রশ্ন ফাঁসের কারণে যেহেতু আবারও পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে, সেহেতু প্রত্যেকেরই পরীক্ষা নিতে হবে। অনেকে তো পরীক্ষার সময়ই প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে জেনে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে ফেল করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, অনুষদ-প্রধানদের কমিটির সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তারা ‘ঘ’ ইউনিটে উত্তীর্ণ প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার পরীক্ষার্থীর আরেকটা পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। পরীক্ষার সমন্বয়কারী ও যুগ্ম সমন্বয়কারী ডিনরা সিদ্ধান্ত নিয়ে পরীক্ষার তারিখসহ অন্যান্য তথ্য পরে গণমাধ্যমকে জানাবেন।
পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে চলমান ‘তদন্ত কমিটির বর্তমান ভূমিকা’ সম্পর্কে জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, ‘অশুভ তৎপরতার গভীরে প্রবেশের জন্য এবং এসবের মূলোৎপাটনের জন্য কর্মপ্রয়াস অব্যাহত থাকবে। আইন-শৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা বিভাগও কাজ করবে। কোনো রকম অশুভ তৎপরতার সুযোগ থাকবে না।’
‘প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতি ঠেকানোর উপায়’ সম্পর্কে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এ মুহূর্তে ডিন’স কমিটির সিদ্ধান্তই গুরুত্বপূর্ণ। উত্তীর্ণদের পরীক্ষা পুনরায় নেওয়া হবে। চার ডিন বসে বাকি সব সিদ্ধান্ত নেবেন। ডিনরাই ঠিক করবেন, পরীক্ষা পদ্ধতি কেমন হবে। এটি খুবই গোপন বিষয়। অর্থ আর শ্রমের চেয়ে মর্যাদা আর ঐতিহ্য গুরুত্বপূর্ণ। এগুলোর সঙ্গে কোনো আপস নেই।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ সমকালকে বলেন, নতুন সিদ্ধান্তে উত্তীর্ণদের পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ‘ঘ’ ইউনিটের ডিন ও সংশ্নিষ্ট সবাই বসে পরীক্ষার তারিখ ঠিক করবেন।
এ সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় অনশনকারী শিক্ষার্থী আখতার হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তে তিনি খুবই উচ্ছ্বসিত। প্রশাসন ভুল বুঝতে পেরে এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ জন্য তাদের তিনি স্বাগত জানান।
গত ১২ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় ভর্তি পরীক্ষা শুরুর আগে ৯টা ১৭ মিনিটে এ পরীক্ষার উত্তরসহ প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। পরে মূল পরীক্ষার প্রশ্নপত্র যাচাই করে দেখা যায়, পরীক্ষার আগে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সঙ্গে ৭২টি প্রশ্ন ও উত্তর হুবহু মিলে গেছে। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে।
গণমাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটি তাদের অনুসন্ধানে প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ পায়। এর পরও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১৬ অক্টোবর ‘ঘ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ করে।
এ বছর ‘ঘ’ ইউনিটে এক হাজার ৬১৫টি আসনের বিপরীতে আবেদনকারী ছিলেন ৯৫ হাজার ৩৪১ জন। তাদের মধ্যে পাস করেছেন ১৮ হাজার পরীক্ষার্থী।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি সুরাহা না করেই ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে আইন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আখতার হোসেন অনশন শুরু করেন। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ আবারও পরীক্ষা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়। এমনকি ছাত্রলীগও যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে আবার পরীক্ষা নেওয়ার দাবিসহ চার দফা দাবি জানায়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী আলোচনার সময় ছাত্রলীগের দাবির বিষয়ে একমত পোষণ করেন। তিনি তাদের জানান, উপাচার্য বিদেশে আছেন। তিনি দেশে ফিরে এলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
দেশে ফিরে গত সোমবার উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান আরও তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করেন। এ কমিটির প্রধান করা হয় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদকে। গত বছর অনুষ্ঠিত ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনাও এই কমিটি তদন্ত করেছিল। তবে এখনও সে তদন্তের প্রতিবেদন কমিটি জমা দেয়নি।
যে কারণে এমন সিদ্ধান্ত :বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দু’জন নীতিনির্ধারক বলেন, বৈঠকে সব আবেদনকারীর পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে ডিনস কমিটি সায় দেয়নি। কারণ, সব ইউনিটের পরীক্ষার্থীই ঘ ইউনিটে অংশগ্রহণকারী বলে এটিতেই পরীক্ষার্থী সবচেয়ে বেশি। সাড়ে ৯৫ হাজার আবেদনকারীর মধ্যে প্রায় ৭৫ হাজার এ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। সবার ভর্তি পরীক্ষা আবার নিতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরেও আরও ৮১টি কেন্দ্রে পরীক্ষা নিতে হবে। এতে পরীক্ষা ব্যবস্থাপনার ব্যয়ও বেড়ে যাবে। কমিটির সভায় এ প্রশ্নও ওঠে- আবার পরীক্ষা নিলেও যে তাতে প্রশ্ন ফাঁস হবে না- তার গ্যারান্টি কী? পরীক্ষার্থী কমিয়ে এনে স্বল্পসংখ্যক কেন্দ্রে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে মত দেন তারা। বেশিরভাগ ডিনই একমত হন- যারা নূ্যনতম পাস নম্বর পেতে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের আবারও পরীক্ষা নেওয়ার যৌক্তিকতা নেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের একজন প্রবীণ অধ্যাপক নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমকালকে বলেন, একটি ত্রুটি ঢাকতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আরও একাধিক ত্রুটির জন্ম দিচ্ছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস স্বীকার করেও ফল প্রকাশ করা ছিল প্রথম ত্রুটি। এখন শুধু পাস করাদের পরীক্ষা নেওয়ার ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে আবারও তারা তালগোল পাকিয়ে ফেলছে।
৫৭ হাজার পরীক্ষার্থীর কী দোষ? :এদিকে পুনঃপরীক্ষা শুধু উত্তীর্ণদের মধ্যে সীমিত রাখায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীদের মধ্যে। তারা বলছেন, যেহেতু ফেলের পক্ষই ভারি, তাহলে কেন তাদের পরীক্ষা পুনরায় নেওয়া হবে না? ভর্তিচ্ছু ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষার্থী নাটোরের লালপুরের শেখ আমার-উর-রহমান শুভ ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। তাই পরীক্ষা বাতিল করে আবারও পুরো পরীক্ষা নিতে হবে। এখানে পাস-ফেলের হিসাব করার যৌক্তিকতা অর্থহীন। ভর্তিচ্ছু আরেক পরীক্ষার্থী ঢাকার শাহমিকা শাহরিন অনামিকা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি শুধু উত্তীর্ণদেরই পরীক্ষা নেয়, তাহলে প্রশ্ন ফাঁসকারী ও ব্যবহারকারী অসৎ পরীক্ষার্থীরাই এ সিদ্ধান্তের সুবিধাভোগী হবে।
পরীক্ষার্থী আদনান আহনাফ বলেন, এবারের পরীক্ষায় অস্বাভাবিক নম্বর পাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নিজের ইউনিটেই ফেল করেছে, এমন অনেকেই ‘ঘ’ ইউনিটে ভালো করেছে। তাই শুধু উত্তীর্ণদের পরীক্ষা নেওয়ার কোনো যুক্তি থাকতে পারে না।
নিষ্পত্তি হয়নি রিটের :এদিকে, উচ্চ আদালতে এ পরীক্ষা নিয়ে করা রিটের এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। এ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন আনিকা বিনতে ইউনুস। পরীক্ষায় তিনি অকৃতকার্য হন। তার বাবা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. ইউনুস আলী আকন্দ গত রোববার হাইকোর্টে এ পরীক্ষার ফল বাতিল চেয়ে রিট আবেদন করেন। ফল বাতিলের পাশাপাশি ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা নতুন করে নেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে তার আবেদনে। গত ১২ অক্টোবরের এ ভর্তি পরীক্ষা কেন ‘অবৈধ’ ঘোষণা করা হবে না- এ মর্মে রুল চেয়েছেন ইউনুস আলী আকন্দ। রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত রাখার আদেশও চেয়েছেন তিনি। শিক্ষা সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিনকে এ রিট আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে। সোমবার এ রিটের আংশিক শুনানি হয়েছে। ইউনুস আলী আকন্দ গতকাল জানান, আগামী রোববার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
ভিসিকে ছাত্রলীগের স্মারকলিপি :এর আগে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষা যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে পুনরায় নেওয়ার দাবিসহ চার দফা দাবিতে উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানকে স্মারকলিপি দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। এ সময় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ সংগঠনটির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।
ছাত্রলীগের চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া অথবা উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিশেষ ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে সুস্পষ্ট প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে আসা; ডিজিটাল জালিয়াতি, প্রশ্ন ফাঁস বা যে কোনো ধরনের অসদুপায় অবলম্বনকারীর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ প্রশাসনিক ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া; সুস্পষ্ট তথ্য-প্রমাণ সাপেক্ষে জালিয়াতি, প্রশ্ন ফাঁস বা অসদুপায়ের মাধ্যমে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া; আধুনিক, যুগোপযোগী ও মানসম্মত ভর্তি পরীক্ষার স্বার্থে শিক্ষাবিদ, বিশেষজ্ঞ, সিনেট, সিন্ডিকেট, অংশীজন এবং ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে পলিসি ডিবেটের মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কার করা।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এ সময় বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আকাঙ্ক্ষা নিয়ে পরিশ্রম করেন। এখানে যদি প্রশ্ন ফাঁস হয়, তাহলে তা হবে জাতির জন্য লজ্জাজনক। তারা চান পরীক্ষাটি পুনর্বিবেচনা করা হোক।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে একটি মৌন মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবন থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।
সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের বিক্ষোভ :এদিকে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষার ফল বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। এতে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী অংশ নেন। সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।
পরিষদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষা পুনরায় নেওয়া, প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত মূল হোতাদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা এবং বিগত বছরগুলোতে জালিয়াতি করে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিল করা।