গত এক বছরে ১০০ কোটির বেশি কলড্রপ হয়েছে দেশের অন্যতম শীর্ষ মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের। সেই হিসেবে অপারেটরটি কলড্রপে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। সোমবার ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর হতে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সবগুলো মোবাইল অপারেটরের কলড্রপের পরিসংখ্যান প্রকাশ করে বিটিআরসি।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এই সময়ে জিপির কলড্রপ ১০৩ কোটি ৪৩ লাখ, রবির কলড্রপ ৭৬ কোটি ১৮ লাখ, বাংলালিংকের ৩৬ কোটি ৫৪ লাখ আর টেলিটকের আনুমানিক ৬ কোটি।
সক্রিয় সংযোগ বিবেচনায় গ্রামীণফোনের রয়েছে সাত কোটি সাত লাখ সংযোগ আর রবির চার কোটি ৬১ লাখ সংযোগ। অবশ্য গ্রাহক সংখ্যার তুলনায় জিপি-রবির কলড্রপে খুব একটা পার্থক্য নেই।
বিটিআরসির প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাংলালিংকের কলড্রপ হয়েছে ৩৬ কোটি ৫৪ লাখ আর টেলিটকের আনুমানিক ৬ কোটি।
যেখানে বাংলালিংকের সংযোগ তিন কোটি ৩৪ লাখ এবং সরকারি মোবাইল অপারেটর টেলিটকের রয়েছে ৩৮ লাখ ৭৩ হাজার সংযোগ।
গ্রামীণফোনের কলড্রপ নিয়ে সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ প্রকাশের একদিন পরেই এই প্রতিবেদন প্রকাশ করলো বিটিআরসি। রোববার সংসদে তোফায়েল আহমদ বলেন, ‘ইদানিং লক্ষ্য করলে দেখা যাবে আমরা যারা গ্রামীণফোন ব্যবহার করি, প্রত্যেকটি কলে কলড্রপ হয়। একেকটি কলে ৩, ৪, ৫ বার ড্রপ হয়। এজন্য বার বার কল করতে হয়।’
তিনি বলেন, ‘রবি আছে, অন্যান্য ফোন আছে, গ্রামীণফোনের মতো এরকম অন্যায় করে ব্যবসা করে লাভ করা, এটা কিন্তু সঠিক হয় না। এটা বাস্তবসম্মত না।’
এ সময় তিনি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।