২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৮:০১

তরুণদের জন্য প্রযুক্তিনির্ভর দেশ গড়ব: প্রধানমন্ত্রী

তরুণদের জন্য প্রযুক্তি নির্ভর দেশ গড়তে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার সকালে গণভবনে মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) সেবা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তরুণদের মনযোগ দিয়ে লেখাপড়া করতে হবে। তাদেরকে প্রযুক্তি সম্পর্কে আরও জানতে হবে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য যা যা করা দরকার আমরা তা করবো। আমরা বর্তমান প্রজন্ম তরুণদের জন্য উৎসর্গ করছি। কারণ তরুণরাই ভবিষ্যতে এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নিয়ে সরকার যথেষ্ট সচেতন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকবে পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তরুণদের জন্য আধুনিক-বাসযোগ্য দেশ গড়ে তোলা হবে। ’

জনগণ ২০০৮ সালে নৌকা ও আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছিল বলেই গত ১০ বছরে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে বলে জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি খাতে উন্নয়ন ও কাজের সুযোগে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন আর চাকরির জন্য কাউকে পরমুখাপেক্ষী হয়ে থাকার প্রয়োজন নেই। ’

এক অপারেটর থেকে আরেক অপারেটরে যাওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘এটা অনেক সুবিধার। অনেকগুলো সিম ব্যবহার করতে হয় না। পৃথিবীর অনেক দেশে এই সুবিধা আছে। আজ থেকে আমরাও এই সুবিধায় যুক্ত হলাম।’

এ সময় সরকার বেসরকারি খাততে উৎসাহিত করছে বলেও জানান শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে আইসিটি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমদ পলকসহ সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং মোবাইল অপারেটরগুলোর শীর্ষ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে বাণিজ্যিকভাবে বহুল প্রতীক্ষিত এমএনপি সেবা চালু করা হয়েছে। এই সেবা চালু হওয়ার ফলে গ্রাহকরা তার নম্বর অপরিবর্তিত রেখেই যেকোনো কোম্পানির নেটওয়ার্ক ব্যবহার করার স্বাধীনতা পাবেন। যা এর আগে নম্বর পরিবর্তনের ঝামেলার জন্য সম্ভব ছিল না।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ১ অক্টোবর তাদের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমএনপি সেবা দেওয়ার ঘোষণা দেয়।

বিটিআরসি জানায়, বর্তমানে ৭২টি দেশে এমএনপি সেবা চালু রয়েছে। পাকিস্তানে ২০০৭ সালে ও ভারতে ২০১১ সালে এ সেবা চালু করা হয়।

প্রকাশ :অক্টোবর ২১, ২০১৮ ১২:৪০ অপরাহ্ণ