আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে এক বন্দুকধারী হামলাকারীকে গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ। ওই বন্দুকধারী একজন নারীকে জিম্মি করেছিলেন। পুলিশ ঘটনাটিকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে মনে করছে। বন্দুকধারীর গুলিতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়, একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পুলিশ সেখানে যায়। অ্যাপার্টমেন্টের খোলা জায়গায় এক ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। অ্যাপার্টমেন্টে এক নারীকে জিম্মি করে রাখা বন্দুকধারী ব্যক্তিকে পরে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। জিম্মি হওয়া নারীকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত বন্দুকধারীর নাম ইয়াকুব খায়রি। জিম্মির ঘটনার সময় তিনি আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পক্ষে কাজ করছেন বলে জানান। আইএসের পক্ষ থেকেও এই হামলার দায় স্বীকার করা হয়েছে। তবে পুলিশ এখনো এ ঘটনায় আইএসের সঙ্গে নিহত ব্যক্তির জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ পায়নি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়াকুব অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। মেলবোর্নের একটি অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকে প্রথমে বিস্ফোরণ ঘটান তিনি। এরপর বন্দুক ঠেকিয়ে এক নারীকে জিম্মি করেন। ইয়াকুবের গুলিতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি। আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভিক্টোরিয়ার প্রধান পুলিশ কমিশনার গ্রাহাম অ্যাশটন জানান, ইয়াকুব একজন চিহ্নিত অপরাধী। ২০০৯ সালে সিডনি সেনাবাহিনীর একটি ব্যারাকে হামলার পরিকল্পনার দায়ে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এক অভিযোগে জেলে আটক ছিলেন। তবে গত বছর প্যারোলে মুক্তি পান ।
এদিকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল। তিনি এ ধরনের অপরাধীদের প্যারোলে মুক্তি দেওয়ারও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘কীভাবে এমন একজন অপরাধী প্যারোলে মুক্তি পান? যাঁর বিরুদ্ধে সহিংস কার্যক্রমের এত অভিযোগ আছে। এ বিষয়টিতে এখনই গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। আমাদের দেখতে হবে, দেশের জন্য যাঁরা ক্ষতিকর, তাঁরা যেন প্যারোলে মুক্তি না পান।’
দৈনিক দেশজনতা এন/এইচ